শনিবার শুরু হচ্ছে টিকাকরণ, প্রধানমন্ত্রী মোদীর হাত ধরেই করোনা যুদ্ধে জয়রথ ছোটাবে ভারত!
১৬ জানুয়ারি ভারতে শুরু হচ্ছে করোনার ভ্যাকসিনেশন। প্রথম দফায় পাবেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। তার পর প্রথম সারির কোরোনা যোদ্ধাদের করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। এদিন প্রধানমন্ত্রী জানান, এই দুটি পর্যায়ে মোট ৩ কোটি মানুষকে করোনার টিকা দেওয়া হবে। এর জন্য যা খরচ হবে, সবটাই কেন্দ্র বহন করবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
টিকা পাবেন কো-মর্বিডিটি আছে এমন মানুষ
এর পরের ধাপে টিকা পাবেন কো-মর্বিডিটি আছে এমন মানুষ, যাঁদের বয়স ৫০-এর উপরে। এদিন সেই কথাও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি উল্লেখ করেছেন কোভ্যাকসিন ও কোভিশিল্ডের কথা। এই দুটি ভ্যাকসিনই ভারতীয় সংস্থা তৈরি করায়, খরচের ভার অনেকটাই লাঘব হয়েছে বলে তিনি দাবি করেছেন। তাঁর কথায়, 'ভ্যাকসিনের জন্য বিদেশের উপর ভরসা করে থাকলে আমাদের অবস্থা খুব খারাপ হত।'
করোনার টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে কো-উইনের মাধ্যমে
করোনার টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে কো-উইনের মাধ্যমে। আধার নম্বরের সাহায্যে এখানে নাম নথিভুক্ত করাতে হবে। প্রথম ডোজ নেওয়া হয়ে গেলে একটা ডিজিটাল সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। সেখানেই পরবর্তী ডোজ নেওয়ার তারিখ লেখা থাকবে। সবশেষে আসল সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। এর মাধ্যমে কারা করোনার টিকা পেয়েছেন, সেই তথ্য ভান্ডারও তৈরি করা সহজ হবে।
কলকাতার যেখানে যেখানে হবে টিকাকরণ?
সরকারি
এবং
বেসরকারি
মিলিয়ে
কলকাতার
১৮টি
সেন্টারে
হতে
চলেছে
কোভিশিল্ডের
ভ্যাকসিনেশন।
এই
১৮টি
সেন্টারের
মধ্যে
রয়েছে
এসএসকেএম
হাসপাতাল,
কলকাতা
মেডিকেল
কলেজ,
এনআরএস
মেডিকেল
কলেজ,
আরজি
কর
মেডিকেল
কলেজ,
কলকাতা
ন্যাশনাল
মেডিকেল
কলেজ,
স্কুল
অফ
ট্রপিক্যাল
মেডিসিন,
চিত্তরঞ্জন
সেবাসদন,
বিসি
রায়
শিশু
হাসপাতাল,
আইডি
অ্যান্ড
বিজি
হাসপাতাল,
এমআর
বাঙুর
হাসপাতাল।
আরও যেখানে হবে টিকাকরণ?
এছাড়া কলকাতা পৌরনিগমের ১১, ৩১, ৫৭, ৮২ ও ১১১ নম্বর ওয়ার্ডের আরবান প্রাইমারি হেলথ সেন্টার এবং বেসরকারি সেন্টার হিসাবে রয়েছে ঢাকুরিয়া এএমআরআই, ইএম বাইপাসের ধারে অবস্থিত অ্যাপোলো হাসপাতাল, মুকুন্দপুরে অবস্থিত আর এন টেগোর হাসপাতাল। অন্যদিকে, কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিনেশনের কারণে স্থগিত হয়ে যাওয়া পালস পোলিও কর্মসূচি আগামী ৩১ জানুয়ারি রাখা হয়েছে।