
চিনকে চাপে রাখাই লক্ষ্য! বেজিংয়ের বিরুদ্ধে ভারত-জাপান জোটকে মজবুত করতে মোদী-আবে বৈঠক
এই বছরের শুরুতেই জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের আসার কথা ছিল ভারতে। তবে অসমে সেই বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও সিএএ নিয়ে বিক্ষোভের মাঝে ভেস্তে যায় সেই সফর। তারপর করোনা সংক্রমণের জেরে স্তব্ধ হয়ে যায় গোটা বিশ্ব। তবে এরই মাঝে ফের চিনের বিরুদ্ধে জোট বাঁধতে তৈরি হচ্ছে ভআরত ও জাপান।

বেজিংয়ের আশায় জল ঢেলেছে ভারতীয় সেনা
লাদাখে চিন নিজেদের বাহুবল দেখিয়ে ভারতকে কাবু করবে ভেবেছিল। তবে বেজিংয়ের সেই আশায় জল ঢেলেছে ভারতীয় সেনার অদম্য ইচ্ছে। এরই মাঝে আন্তর্জাতিক স্তরে ভারত সমর্থন পেয়েছে চিনের দখলদারি মানসিকতার বিরুদ্ধে। সেই তালিকায় যোগ হয়েছে জাপানের নামও।

শি জিনপিংয়ের সফর বাতিল করে জাপান
করোনা আবহে শি জিনপিংয়ের জাপান সফর বাতিল করতে চলেছে টোকিও। প্রাথমিক ভাবে এপ্রিল মাসে সেই সফর হওয়ার কথা থাকলেও করোনার জেরে তা পিছিয়ে গিয়েছিল। তবে পরবর্তীতেও এই সফরের উপর প্রশ্ন চিহ্ন ঝুলিয়ে দিয়ে এবার বড় পদক্ষেপ নিতে পারে জাপান।

মোদীর লাদাখ সফরের প্রশংসা করে জাপান
এদিকে লাদাখে প্রধানমন্ত্রীর মোদীর সফরকে সমর্থন জানায় ভারত। ভারতের প্রশংসা করেন ভারতে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত সাতোশি সুজুকি। এছাড়া কয়েকদিন আগেই জাপানের সঙ্গে মিলে ভারতীয় মহসাগরে যৌথ মহড়া দেয় দুই দেশের নৌবাহিনী। দক্ষিণ চিনের খুব কাছেই দুই দেশের এই নৌবাহিনীর মহড়া নিশ্চিত ভাবে রক্তচাপ বাড়িয়েছে চিনের। লাদাখ নিয়ে উত্তেজনার মাঝেই চিনকে চাপে রাখতে ভারতের এই যৌথ মহড় খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ভারত জাপান যৌথ মহড়া
ভারতের তরফে আইএনএস রানা, আইএনএস কুলিশ ও জাপানের তরফে জেএস কাশিমা ও জেএস শিমায়ুকি। এই মহড়াতে অংশগ্রহণ করে। সেই সময়ও ভারতে জাপানের রাষ্ট্রদূত সাতোশি সুজুকি নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে এই যৌথ মহড়ার ছবি পোস্ট করে দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় করার অঙ্গীকার পেশ করেছিলেন। এদিকে দক্ষিণ চিন সাগরে ভারত ও জাপান ফের মহড়া দেবে। এবার এদের সঙ্গে যোগ দেবে আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়াও।

চিন বিরোধী জোট
চিনের বিরুদ্ধে আগেই জোট বেঁধেছিল বিশ্বের ৮টি দেশ। বিশ্বের আটটি অন্যতম শক্তিধর দেশের সাংসদদের একটি জোট এই সিদ্ধান্ত নিয়ছে। এই জোটে আমেরিকা, গ্রেট ব্রিটেন, জার্মানি, জাপান ছাড়াও রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, সুইডেন, নরওয়ে ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের বেশ কয়েকজন সাংসদ।

আন্তর্জাতিক স্তরে চাপে চিন
এই দেশগুলির আইনপ্রণেতারা আলোচনায় বসে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে, চিন ক্রমেই বিশ্ব অর্থনীতি ও মানবাধিকারের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এছাড়া বিশ্ব সুরক্ষার ক্ষেত্রেও চিন বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর জেরে চিনকে রুখতে একজোট হতে চলেছে এই দেশগুলি। হংকং ও উইঘুর মুসলিমদের উপর চিনা অত্যাচারও এই ৮টি দেশের জোটের চিন্তার কারণ।