জাতীয় শিক্ষা নীতি নতুন ভারতের স্বপ্ন পূরণ করবে, বার্তা প্রধানমন্ত্রী মোদীর
জাতীয় শিক্ষা নীতি নতুন ভারতের স্বপ্ন পূরণ করবে, বার্তা প্রধানমন্ত্রী মোদীর
জাতীয় শিক্ষা নীতি ২০২০ নতুন ভারতের স্বপ্ন পূরণ করবে। শুক্রবার একবিংশ শতকের স্কুল শিক্ষা শীর্ষক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই জাতীয় শিক্ষানীতির সুফল নিয়ে বার্তা দেন তিনি। স্কুল শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা করছে মোদী সরকার। এই নিয়ে বিরোধীরা সরবও হয়েছে। আলোচনা নাকেই মোদী সরকার একক ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে দেশের ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে খেলছে বলে অভিযোগ করেছে বিরোধীরা।
জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে মোদী
ফের জাতীয় শিক্ষানীিতর সপক্ষে সওয়াল করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার ভার্চুয়াল একবিংশ শতকের স্কুল শিক্ষা শীর্ষক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নতুন ভারতের স্বপ্ন পূরণ করবে জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০। গত চার থেকে ৫ বছর ধরে কঠিন পরিশ্রম করে তৈরি করা হয়েছে এই শিক্ষানীতি। বহু শিক্ষাবিেদর মতামত নেওয়া হয়েছে। গোটা দেশে এই শিক্ষানীতি কার্যকর করতে হবে। সকলকে মিলিত ভাবে এই শিক্ষানীতি নিয়ে কাজ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
সকলের পরামর্শ নিয়েই সিদ্ধান্ত
বিরোধীরা অভিযোগ করেছেন মোদী সরকার পরামর্শ এবং মতামত না নিয়েই জাতীয় শিক্ষানীতিতে বদল আনতে চাইছেন। এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছেন সরকার সকলের কাছে পরামর্শ চেয়েছে শিক্ষানীতি নিয়ে। তারপরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরামর্শ জানানোর জন্য সরকারি ওয়েবসাইট খোলা হয়েছিল তাতে ১৫ লক্ষেরও বেশি মতামত এসেছে।
কর্মোপযোগী শিক্ষা
একবিংশ শতাব্দীর মতো করে শিক্ষানীতিকে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। শুখু পড়াশোনা না শিক্ষাকে যাতে কাজের উপযোগী করে তুলতে পারে নবীন প্রজন্ম সেইরকম শিক্ষা এখন প্রয়োজন। তার জন্য স্কিল নির্ভর শিক্ষার দিকে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে জাতীয় শিক্ষা নীিততে।
প্রি-প্রাথমিক থেকেই বদল
প্রথমিক স্তরের আগে থেকেই শিক্ষা দান পদ্ধতির বদল আনা হচ্ছে। সেই মতো করে শিক্ষক শিক্ষিকাদেরও প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। তাঁদেরও শিক্ষণ পদ্ধতিতে বদল আনতে হবে। তবেই শিশুর মানসিক বিকাশ সম্ভব হবে। প্রি প্রাথমিকে অ্যাক্টিভিটি মূলক শিক্ষার প্রয়োগ করার উপর জোর দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।