লাল কেল্লা নয়, স্বাধীনতা দিবসে পতাকা উত্তোলনের স্থান পরিবর্তন করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
তবে, মোদী ঘণিষ্ঠ মহলের অনুমান সেই পুরনো রীতি-নীতি মেনে মুখস্থ করা ভাষণ দেবেন না নরেন্দ্র মোদী। বদল হতে পারে লালকেল্লারও। স্বাধীনতা দিবস মানেই লালকেল্লা এই মিথটি ভেঙে দিতে পারেন নরেন্দ্র মোদী। তা অবশ্য মোদীর কাছে নতুন কোনও বিষয় নয়। গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকা কালীন স্বাধীনতা দিবসের স্থান গান্ধীনগর থেকে সরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। যদিও তখন বিরোধীরা বিরোধীতা করেছিলেন এর, বলছিলেন এটা শুধুই মাত্র চমক দেওয়ার জন্য।
২০০৩ সালে গুজরাতের পাটানে স্বাধীনতা দিবসের পতাকা উত্তোলন করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। এর পরে আনন্দ, হিম্মতনগর, সবরকণ্ঠ, দাহোদ, মেহসানা, পালনপুরের মতো ছোট ছোট শহরগুলিতে স্বাধীনতা দিবস উজ্জাপন করা হয়েছে।
স্বাধীনতা দিবসে নরেন্দ্র মোদীর ভাষণেও নতুনত্ব থাকবে বলে অনুমান মোদী ঘণিষ্ঠদের
স্বাধীনতা দিবসকে মহোৎসব ঘোষণা করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। আর তাই প্রতিবছর ৬ দিনের উৎসব চলে। পুলিশ প্যারেড থেকে শুরু করে ছোটদের জন্য অনুষ্ঠান, হিন্দু ঐতিহ্যের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সেনাবাহিনীর যুদ্ধশিক্ষা প্রদর্শন একাধিক অনুষ্ঠান হয়। জানালেন, মোদীর সঙ্গে যে আধিকারিকরা কাজ করে এসেছেন গুজরাতে, তাঁদেরই একজন।
এর পাশাপাশি মোদী আর একটি অভিনব পরিকল্পনা শুরু করেছিলেন। প্রত্যেক স্বাধীনতা দিবসে নির্বাচিত একটি রাজ্যের জন্য ৫ কোটি টাকার কোনও প্রকল্প ঘোষণা করেন নরেন্দ্র মোদী।
গুজরাতে মুখ্যমন্ত্রী অফিসের আধিকারিকদের কথায়, নরেন্দ্র মোদী জমানায় স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে কীভাবে নিদ্রাহীন রাত কাটাত তাঁদের তা তারা আজও ভুলতে পারেননি। তাদের একাংশের কথায়, প্রতিবছর ২ দিনব্যাপী অনুষ্ঠান হত। নয়া প্রতিষ্ঠানের জন্য ভূমি পূজা হত। স্বাধীনতা দিবস পালনের স্থান সবসময় চমকপ্রদ হত। ২০১১ সালে খেড়ায়, যা কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি হিসাবেই পরিচিত ছিল। বা ২০০৯ সালে রাজ পিপলা।
প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে তাই যে ছকে বাঁধা নীতিতে নরেন্দ্র মোদী এগোবেন না তা মনে করা খুব একটা অস্বাভাবিক নয়। তবে লাল কেল্লা থেকে সরিয়ে যদি নরেন্দ্র মোদী অন্য কোথাও থেকে পতাকা উত্তোলন করেন সেক্ষেত্রে বিরোধীরা কী বলবেন এবং সাধারাণ মানুষের কাছে তা কতটা গ্রহণযোগ্য হবে তা নিয়ে একটা প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। তবে সবচেয়ে বড় যে প্রশ্নটা সেক্ষেত্রে উঠছে তা হল লাল কেল্লা যদি না হয় তাহলে হবে কোথায়?