মোরবি সেতু দুর্ঘটনায় আহতদের সঙ্গে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী, ঘুরে দেখলেন ঘটনাস্থল
মোরবি সেতু দুর্ঘটনায় আহতদের সঙ্গে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী, ঘুরে দেখলেন ঘটনাস্থল
গুজরাতের মোরবি শহরে ঝুলন্ত সেতু ভেঙে গিয়ে শতাধিক মৃত্যু হয়েছে। এই ঝুলন্ত সেতু নিয়ে ইতিমধ্যে একাধিক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। বিরোধীরা গুজরাতে বিজেপি সরকারকে এই মর্মান্তিক ঘটনার জন্য দায়ী করছেন। এই পরিস্থিতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দুর্ঘটনাস্থলে যান। এরপরেই মোরবি সিভিল হাসপাতালে যান। সেখানে আহতদের সঙ্গে দেখা করেন। মোরবি সেতু ভেঙে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর দেখা করার কথা রয়েছে। মোরবি সেতু দুর্ঘটনা নিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যার সময় উচ্চ পর্যায়ে বৈঠক হবে। এখনও পর্যন্ত শতাব্দী প্রাচীন এই সেতুর সংস্কারক সংস্থা ওয়েভা গ্রুপের কোনও আধিকারিককে কেন গ্রেফতার করা হল না, সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
মোরবি সিভিল হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মঙ্গলবার দুর্ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণ করার পরে মোরবি সিভিল হাসপাতালে যান। সেখানে দুর্ঘটনায় আহতদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের কাছ থেকে কীভাবে ঘটনাটি ঘটে তা জানতে চান। আহতদের কাছ থেকে জানতে চান দুর্ঘটনাস্থল থেকে কীভাবে তাঁরা নিজেদের রক্ষা করতে সক্ষম হন। স্থানীয় সূত্রের খবর, মোরবি হাসপাতালে পাঁচ থেকে ছয় জন আহত ভর্তি ছিলেন। জানা যাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলেন। যাঁরা ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন।
দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
মঙ্গলবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মোরবির যেখানে দুর্ঘটনা ঘটে, সেটি পরিদর্শন করেন। ভাঙা সেতুর সামনে দাঁড়িয়ে তিনি কীভাবে ঘটনাটি ঘটেছিল তা স্থানীয় আধিকারিকদের কাছে জানতে চান। তিনি উদ্ধারকর্মীদের সঙ্গেও কথা বলেন। এখনও মচ্ছু নদীতে উদ্ধার কাজ অব্যাহত রয়েছে। মচ্ছু নদী পানাতে ভরে যাওয়ার কারণে উদ্ধার কাজ ব্যহত হয়। রবিবার ছটার পর মোরবি সেতু ভেঙে যায়। অন্ধকার হয়ে যাওয়ার কারণে রবিবার উদ্ধার কাজ ব্যহত হয়। উদ্ধারর্মীরা মনে করছেন, দিনের আলো থাকলে হয়তো আরও কিছু জনকে বাঁচানো সম্ভব হতো। অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রীর মোরবি সেতুর কাছে আসার আগেই ওয়েভা গ্রুপের ব্যানার ঢেকে দেওয়া হয়।
মোরবি সেতু সংস্কারের চুক্তি নিয়ে ধোঁয়াশা
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে ওরেভা গ্রুপকে রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, সিএফএল বাল্ব, দেওয়াল ঘড়ি এবং ই-বাইক তৈরি করে এমন সংস্থাকে কেন শতাব্দী প্রাচীন এই ঝুলন্ত সেতুর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হল। মোরবি সেতু রক্ষণাবেক্ষণের চুক্তি নিয়েও ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। ঝুলন্ত সেতুটি মেরামতের জন্য সাত মাস আগে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ফিট সার্টিফিকেট ছাড়াই ২৬ অক্টোবর গুজরাতি নববর্ষের দিন তা খুলে দেওয়া হয়। পৌরসভার তরফে জানানো হয়েছে, এই ঝুলন্ত সেতুটি পর্যটকদের জন্য খোলার বিষয়ে কোনও অনুমতি দেওয়া হয়নি। এমনকী পৌরসভা কোনও ফিট সার্টিফিকেটও দেয়নি।
গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি
গুজরাতে মোরবি সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায় রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটিকে অপরাধমূলক অবহেলা বলে উল্লেখ করা হচ্ছে। তবে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো এই দুর্ঘটনার জন্য গুরাতের বিজেপি সরকারকে দায়ী করছে। কেজরিওয়াল সরকার গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেন। তিনি বলেন একটি ঘড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থা কীভাবে শতাব্দী প্রাচীন এই সেতু সংস্কারের দায়িত্ব পায়।
ছবি সৌ:এএনআই
মোদী আসার আগে সাজছে ব্রিজ কাণ্ডে আহত হয়ে ভর্তি হওয়াদের হাসপাতাল, কটাক্ষ আপ - কংগ্রেসের