হরিয়ানা নির্বাচনী প্রচার শুরু! রোহতকে যা চেয়েছেন, সব সময় বেশিই দিয়েছে, বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদী
সামনেই হরিয়ানায় বিধানসভা নির্বাচন। সেদিকে লক্ষ্য রেখে রবিবার থেকে হরিয়ানায় ভোট প্রচার শুরু করে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
সামনেই হরিয়ানায় বিধানসভা নির্বাচন। সেদিকে লক্ষ্য রেখে রবিবার থেকে হরিয়ানায় ভোট প্রচার শুরু করে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। হরিয়ানাক রোহতকে বিজেপির সমাবেশে মোদী বলেন, রাজ্যের দশটি আসনেই বিজেপিকে জয়ী করায় অভিনন্দন। গত কয়েকমাসে তিনি ৩ বার রোহতকে এলেন বলেও জানিয়েছেন। তবে এবার এসেছেন, আরও বেশি সমর্থনের আশায় বলেছেন মোদী। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, রোহতক সবসময়ই তিনি যা চেয়েছেন, তার থেকে বেশিই দিয়েছে।
সভার ভিড়ে খুশি মোদী
এদিন
মোদীর
ভাষণের
সময়
মঞ্চে
হাজির
ছিলেন,
মুখ্যমন্ত্রী
মনোহরলাল
খাট্টার
এবং
রাজ্য
বিজেপির
শীর্ষ
নেতারা।
যেখানে
বিজেপির
সভার
আয়োজন
করা
হয়েছিল
তা
ছিল
কানায়
কানায়
পূর্ণ।
যা
দেখে
খুশি
মোদী।
তিনি
বলেন,
রাজ্যে
বিজেপির
প্রতি
যে
প্রবল
জন
সমর্থন
রয়েছে
,
তা
এই
ভিড়
থেকেই
প্রমাণিত।
যেভাবে মানুষ ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে সমর্থন করেছিলেন সেইভাবেই বিধানসভা নির্বাচনে মনোহরলাল খাট্টারকে মানুষ সমর্থন করবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।
১০০ দিনে পরিবর্তন, সংকল্প, উন্নতি
দ্বিতীয় দফায় তাঁর সরকারের ১০০ দিন পূর্ণ হওয়ার পরেই তিনি হরিয়ানার ভোট চাইতে এসেছেন বলেও জানিয়েছেন মোদী। গত ১০০ দিনের সরকারকে পরিবর্তন, সংকল্প, উন্নতি এবং ভাল উদ্দেশের সরকার বলেও বর্ণনা করেন মোদী।
জন আশীর্বাদ যাত্রার শেষে মোদীর সভা
রাজ্যে বিজেপির জন আশীর্বাদ যাত্রার শেষেই এদিনের এই সভার আয়োজন করা হয়েছে। ১৮ অগাস্ট চণ্ডীগড় থেকে ২০ কিমি দূরে কালকায় জন আশীর্বাদ যাত্রার সূচনা করেছিলেন। যা রাজ্যের ৯০ টি বিধানসভা এলাকা ছুঁয়ে গিয়েছে।
সভার বিশেষত্ব হল এই যে, সেখানে আসা মানুষজনকে প্লাস্টিকের বোতল আনতে বারণ করা হয়েছিল। অন্যদিকে বিজেপির হোর্ডিং তৈরি করা হয়েছিল কাগজের এবং কাপড়ের। ছিল না কোনও প্লাস্টিক।
ইতিমধ্যেই দুবার রাজ্য সফর করে গিয়েছেন দলের সভাপতি অমিত শাহ। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই ইঙ্গিত দিয়েছেন, রাজ্যে ভোট হতে পারে ১৫ অক্টোবর নাগাদ। যার জন্য আদর্শ আচরণবিধি লাগু হওয়ার কথা ১৫ সেপ্টেম্বর। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে দলের জয়ের ব্যাপার আশাবাদী রাজ্য বিজেপি। ইতিমধ্যেই প্রধান বিরোধী ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লোকদলের বহু নেতাই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। অন্যদিকে কংগ্রেসে অন্তর্দ্বন্দ্ব লেগেই রয়েছে।