মোদী বিভাজন-রাজনীতির মূল হোতা! ‘টাইম’ ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে দেশজুড়ে বিতর্ক
দেশে এখন ভোটের ভরা মরশুম। এখনও দু-দফার ভোট বাকি। ভোট নিয়ে উত্তেজনাও চরমে। এরই মধ্যে উত্তেজনার পারদ চরমে তুলে দিল আমেরিকার জনপ্রিয় ম্যাগাজি 'টাইম'। 'টাইমে'র কভার নিয়ে এখন বিতর্ক তুঙ্গে। আমেরিকার এই জনপ্রিয় ম্যাগাজিনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বিভাজনের রাজনীতির হোতা বলে উল্লেখ করেছে।

ইন্ডিয়াজ ডিভাইডার ইন চিফ
ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে ছাপা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবি। তার পাশে হেডলাইন- ইন্ডিয়াজ ডিভাইডার ইন চিফ অর্থাৎ ভারতে বিভাজনের হোতা। এই ম্যাগাজিনের কভার স্টোরিটি লিখেছেন আতীশ তসির। তাঁর লেখা আর্টিকেলের হেডলাইন ছিল- 'বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র কি আর পাঁচ বছরের জন্য মোদি সরকারকে সহ্য করতে পারবে?'

নেহরুর ধর্মনিরপেক্ষ নীতির তুলনা
এই প্রতিবেদনে দেশেরে প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর ধর্মনিরপেক্ষ নীতির কথা তুলে ধরা হয়েছে। তাঁর সেই নীতির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বর্তমান চিন্তাভাবনার তুলনা করেছেন লেখক। এমনও উল্লেখ করা হয়েছে, দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বহুত্ববাদের ভারতে হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ গড়ে তোলার কোনও চেষ্টাই করেননি।

গুজরাট হিংসার কথা প্রতিবেদনে
এমনকী এই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে গুজরাট হিংসার কথা। সেই হিংসা অসংখ্য প্রাণহানির কথা। গোটা লেখনিতেই হিন্দু-মুসলিমের সম্পর্ক নিয়ে মোদীকে কাঠগোড়ায় তোলা হয়েছে। তাঁর হিন্দুত্বের মনোভাব আর অ-হিন্দুত্বে বিদ্বেষ ছড়ানো নিয়ে সমালোচনা করা হয়েছে।

২০১২-র পর ২০১৯, মোদীকে কটাক্ষ
মোদী জমানায় অর্থার ২০১৪ সালের পর থেকে আমেরিকার কোনও ম্যাগাজিনে এ ধরনের মোদী-বিরোধী লেখা স্থান পায়নি। আমেরিকার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কই বজায় ছিল মোদী প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসার পর। এর আগে, নরেন্দ্র মোদিকে কটাক্ষ করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছিল ২০১২ সালে। তখন তিনি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী।

মোদীর ক্ষমতায় ফেরা নিয়ে প্রশ্ন
সেই প্রতিবেদনে নরেন্দ্র মোদিকে এক বিতর্কিত চরিত্র বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। বলা হয়েছিল, তিনি উচ্চাকাঙ্খী এবং কূট রাজনীতিক। আবার ২০১৯-এ ভারতে যখন ভোট-যুদ্ধ নিয়ে উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে, তখনই এ ধরনের এক প্রতিবেদন এবার মোদীর ক্ষমতায় ফেরা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিল।