একুশে 'মিশন বাংলা', মমতার 'রেল ফর্মুলায়' অঙ্ক কষেই জয়ের পথ সুগম করছেন মোদী
লুধিয়ানা থেকে ডানকুনি এবং উত্তরপ্রদেশ থেকে শুরু করে মুম্বই পর্যন্ত একটি ফ্রেইড করিডোরের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানটি হয়। ইস্টার্ন ফ্রেইট করিডোরটি লুধিয়ানার সাননেওয়াল থেকে শুরু করে পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ডের মধ্যে দিয়ে এসে এই রাজ্যের ডানকুনিতে শেষ হবে।
ভারতের রাজনীতিতে রেল ফর্মুলা
উল্লেখ্য, ভারতীয় রাজনীতিতে দীর্ঘকাল একটি অলিখিত 'ফর্মুলা' ছিল যে রাজ্যে ক্ষমতা দখল করতে কেন্দ্রে রেল মন্ত্রক হাতে রাখতে হবে। এই ফর্মুলাতেই লালুপ্রসাদ যাদব, নীতীশ কুমার থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজ নিজ রাজ্যে বিভিন্ন সময় ক্ষমতা দখল করেছেন। মূলত রেল ভারতীয় জীবন যাত্রা একটি লাইফলাইন। সেই লাইফলাইনকে ব্যবহার করেই এবার বিজেপি বাংলা জয়ের পথ সুগম করতে চাইছে।
মোদীর বক্তৃতায় বাংলার অনুষঙ্গ
যেই সময় কেন্দ্রীয় সরকারের অংশ ছিল মমতার দল, সেই পুরোটা সময় রেল মন্ত্রক নিজের কাছে রেখেছিলেন মমতা। মমতা মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে রাজ্যে আসার পরও কেন্দ্রে মন্ত্রক সামলেছেন তাঁর দলের দীনেশ ত্রিবেদী বা মুকুল রায়। এবার রেলের একাধিক প্রকল্পে বাংলাকে লাভবান করার দাবি করে মোদীও বাংলার মানুষের মন জয়ে নেমেছেন। এর আগে সোমবার কিষাণ রেল উদ্বোধনের সময় উঠএ এসেছিল বাংলার প্রসঙ্গ। পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোট এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে মোদীর বক্তৃতায় বাংলার অনুষঙ্গ এখন অবধারিত বলেই মনে করছে রাজনৈতিক শিবির।
৫,৭৫০ কোটি টাকা খরচ
আজ চালু হওয়া ইস্টার্ন ডেডিকেটেড ফ্রেইট করিডরের নিউ ভাউপুর-নিউ খুরজা শাখা ৩৫১ কিলোমিটার দীর্ঘ। এই ফ্রেইট করিডোর নির্মাণে খরচ হয়েছে ৫,৭৫০ কোটি টাকা। এটি উত্তরপ্রদেশে অবস্থিত। ভারতীয় রেলের কানপুর দিল্লি মেন লাইনে এই শাখার ফলে ট্রেনে চলাচলের উপর চাপ কমবে এবং ভারতীয় রেল আরো দ্রুতগতিতে ট্রেন চালাতে পারবে।
ওয়ের্স্টান ফ্রেইট করিডোরের দৈর্ঘ্য ১৫০৪ কিলোমিটার
এদিকে ওয়ের্স্টান ফ্রেইট করিডোরের দৈর্ঘ্য ১৫০৪ কিলোমিটার। এটি উত্তর প্রদেশ থেকে শুরু করে মুম্বইয়ের জওহরলাল বন্দরের সঙ্গে যুক্ত হবে। স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত শিল্পগুলি এক স্থান থেকে অন্যস্থানে পরিবহণের সুবিধের জন্য এই করিডোর তৈরি করা হয়েছে। এই করিডর উত্তরপ্রদেশ হরিয়ানা রাজস্থান গুজরাট এবং মহারাষ্ট্রের মধ্য দিয়ে যাবে।
নতুন করিডোরের কারণে উপকৃত হবে যে অঞ্চলগুলি
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এদিন দাবি করেন, 'নতুন এই করিডোরের কারণে সুবিধে পাবে কানপুর দেহাট জেলার অ্যালুমিনিয়াম শিল্প, আউরিয়া জেলার দুগ্ধ শিল্প, ইটাওয়াহ জেলার বস্ত্র শিল্প, ফিরোজাবাদ জেলার কাচ শিল্প, ও একাধিক স্থানের মৃৎ শিল্প।'
বছরের পর বছর টাকা বরাদ্দ হলেও কাজ হয়নি
নরেন্দ্র মোদী অভিযোগ করেন, বছরের পর বছর টাকা বরাদ্দ হলেও কাজ হয়নি। রাজ্য-কেন্দ্র সমন্ময়ের অভাবে এতদিনেও এই কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি। তবে গত ছয় বছরে আমরা অনেক কাজ করেছি। এত দিন দেশের এক প্রান্তের ফসল অন্য প্রান্তের বাজারে পৌঁছে দেওয়ায় সমস্যা হত। সড়কপথে খরচও ছিল বেশি। তবে এখন সেই সমস্যা মিটবে।
ঈশ্বরের ইঙ্গিতে পিছু হটলেন রজনীকান্ত! তামিল রাজনীতিতে নয়া মোড় থালাইভার সিদ্ধান্তে