দিল্লি থেকে বারণসী মাত্র ৮ ঘণ্টায়, নিয়ে যাবে বন্দে মাতরম এক্সপ্রেস, উদ্বোধন করলেন মোদী
চালু হয়ে গেল দেশের সেমি-হাইস্পিড ট্রেন বন্দে-মাতরম এক্সপ্রেস। এই ট্রেন নাদিল্লি থেকে বারাণসীর মধ্যে চলবে। শুক্রবার দিল্লি থেকে এই হাই-এক্সিকুটিভ ক্লাস ট্রেনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
চালু হয়ে গেল দেশের সেমি-হাইস্পিড ট্রেন বন্দে-মাতরম এক্সপ্রেস। এই ট্রেন নাদিল্লি থেকে বারাণসীর মধ্যে চলবে। শুক্রবার দিল্লি থেকে এই হাই-এক্সিকুটিভ ক্লাস ট্রেনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি জানান, 'এই ট্রেনের নকসা থেকে শুরু করে এর ভাবনা সকলকেই চমকে দেবে।'
এই সেমি-হাইস্পিড ট্রেনের নাম টি-১৮ হলেও 'বন্দে ভারত এক্সপ্রেস' নাম দিয়ে এই ট্রেনকে রেলট্র্য়াকে নামানো হয়েছে। চেন্নাই-এর রেল কারখানায় ট্রেনটি তৈরি হয়েছে। এতে অমনসব অত্যাধুনিক ব্যবস্থা রয়েছে যা যাত্রীদের মুগ্ধ করবে। এই ট্রেনে কোনও ইঞ্জিন নেই। বলতে গেলে একটা ইনটিগ্রাল ইউনিট এই ট্রেনটি।
'বন্দে ভারত এক্সপ্রেস' ট্রেনের সমস্ত কিছুই বানানো হয়েছে চেন্নাই-এ। এই ট্রেন নির্মাণের সঙ্গে জড়িত থাকা রেল কর্তা ও ইঞ্জিনিয়ারদের অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ে জঙ্গি হামলার পর এটাই ছিল প্রধানমন্ত্রীর প্রথম প্রকাশ্য অনুষ্ঠান। 'বন্দে মাতরম' এক্সপ্রেসের উদ্বোধনে যোগ দিতে আসার আগে তিনি নিরাপত্তা বিষয়ক ক্যাবিনেট কমিটির বৈঠকও করেন। বৈঠক সেরেই সরাসরি এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে চলে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তাই 'বন্দে মাতরম' এক্সপ্রেসের উদ্বোধনের শুরুতেই শহিদ জওয়ানদের আত্মার শান্তিতে ২ মিনিটের নীরবতা পালন করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর তিনি পুলওয়ামা জঙ্গি হামলা নিয়ে সরকারিভাবে বক্তব্য জানানোর পর 'বন্দে মাতরম' এক্সপ্রেসের উদ্বোধন নিয়ে বক্তব্য শুরু করেন।
'বন্দে ভারত এক্সপ্রেস' মেকিং ইন্ডিয়া-র একটা উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বলেও দাবি করেন নরেন্দ্র মোদী। তিনি এই প্রসঙ্গে আরও জানান যে, আগে যে কোনও রেল প্রজেক্ট শুরু হওয়ার পর তা বাস্তবায়িত হবে দুই দশক লেগে যেত। এখন সেখানে সর্বাধিক ৬ মাস লাগছে। রেলের ম্য়াপ থেকে সমস্ত অরক্ষিত লেভেল ক্রসিং বা আনম্যানড লেভেল ক্রসিং-কে হঠানো সম্ভব হয়েছে।
তাঁরা সরকারে আসার পর রেল পরিষেবার আমূল সংস্কার করা হয়েছে। যার ফলে ভারতীয় রেল এখন আন্তর্জাতিক মানে পৌঁছে গিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। উদ্বোধনী ভাষণের পর 'বন্দে মাতরম' এক্সপ্রেসের কামরায় ভিতরে ঘুরে সমস্ত ব্যবস্থা পরিদর্শন করেন। মোটর ম্যান-এর প্যানেলের সমস্ত অত্যাধুনিক বিষয়েও খবর নেন। এরপর ফ্যাগ দেখিয়ে 'বন্দে মাতরম এক্সপ্রেস'-এর প্রথম যাত্রার সূচনা করেন তিনি।