করোনা মোকাবিলায় বড় সিদ্ধান্তের পথে কেন্দ্রে? মঙ্গলবারই মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে জরুরী বৈঠকে মোদী
গত কয়েক মাসে আক্রান্তের সংখ্যায় বেশ কিছু পারাপতন লক্ষ্য করা গেলেও শীত পড়তেই ফের গোটা দেশেই জাঁকিয়ে বসছে করোনা সংক্রমণ। ১৬ই নভেম্বর ভারতে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ২৮,০০০-এ নেমে এলেও তিনদিনের মাথায় পুনরায় তা ৪৫,০০০-এর গন্ডি পেরিয়েছে। এমতাবস্থায় কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে মঙ্গলবারই ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে জরুরী বৈঠকের ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

নতুন হটস্পটের বিষয়ে আলোচনা
কেন্দ্রীয় সূত্রে জানা গেছে, দিল্লি, মহারাষ্ট্র, কেরল, পশ্চিমবঙ্গ ও রাজস্থানের মত চরম ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যগুলির করোনা পরিস্থিতির বিষয়ে আলোচনা করতে পারেন মোদী। তাছাড়াও কোভিডের নতুন ঢেউ এবং নতুন হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত এলাকাগুলির বিষয়েও আলোচনা করা হবে বলে জানা গেছে।

একধিক করোনা ভ্যাকসিনের সাফল্য নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা
মোডার্না-ফাইজারের ভ্যাকসিনের সফলতার হার ৯৫% ছুঁয়েছে, এ বিষয়ে কিছুদিন আগেই নীতি আয়োগের নেতৃত্বে একটি বৈঠক আয়োজিত হয়। আশা করা যায়, মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনাতেও ভারতের যে ভ্যাকসিনগুলি দ্বিতীয়/তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে পৌঁছেছে, সেগুলির প্রসঙ্গে আলোচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের কার্যকারিত নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উপর জোর
এদিকে কোভিডের লাগামহীন আক্রমণে ভেঙে পড়েছে ভারতের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো। এমতাবস্থায় ভারতের স্বাস্থ্য আধিকারিকদের আশা, এতদিন কেন্দ্র যে তৎপরতায় করোনার মোকাবিলা করেছে, কোভিডের দ্বিতীয় সংক্রমণের ঢেউ সামলাতেও একইভাবে রাজ্যগুলির সঙ্গে একযোগে বিপর্যয় রোধ করবে মোদি সরকার।

ভারতে সুস্থ ৮৫ লক্ষ
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্যানুযায়ী, ৪৪,০৫৯ জন নতুন করে আক্রান্ত হওয়ার কারণে সোমবার ৯১ লক্ষের গন্ডি পেরিয়েছে ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। যদিও প্রায় ৮৫,৬২,৬৪১ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন গোটা দেশেই। বর্তমানে ভারতে প্রায় ৪.৪৩ লক্ষ সক্রিয় কোভিড আক্রান্ত থাকলেও পরস্পর ১৬দিন ভারতে প্রত্যহ আক্রান্তের সংখ্যা ৫০,০০০-এর গন্ডি পেরোয়নি, যা নিঃসন্দেহে আশা জুগিয়েছে গবেষকদের।

শুভেন্দু তৃণমূলেই থাকছেন! তাই কি তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলেন দাদার অনুগামীরা