'হনুমান'-এর মন ভেঙে বিহার জয়ের পথে 'রামচন্দ্র', চিরাগের জন্য বন্ধ মোদীর দরজা
এলজেপি নেতা চিরাগ পাসোয়ান এবং নীতীশ কুমারের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে বিহার নির্বাচনের নির্ঘণ্ট বাজতেই। সেই পরিস্থিতিতে জেডিইউর সঙ্গে হাত মিলিয়ে বিহার জয়ের লক্ষ্যে নামে বিজেপি। তবে নাছোড়বান্দা চিরাগ পাসোয়ান বিজেপির সঙ্গ ত্যাগে নারাজ ছিলেন। সেই মতো বারবারই প্রধানমন্ত্রী মোদীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হওয়া ছাড়াও দাবি করেছিলেন যে বিহারে সরকার গঠন করবে বিজেপি-এলজেপি।
মোদীর হনুমান বলে নিজেকে আখ্যা দিয়েছিলেন চিরাগ
শুধু তাই নয়, বিজেপি তথা প্রধানমন্ত্রীকে তুষ্ট করতে নিজেকে নরেন্দ্র মোদীর হনুমান হিসাবে আখ্যা দিয়েছিলেন এলজেপি প্রধান চিরাগ পাসোয়ান। যদিও তাতেও বিজেপির মন গলেনি। জেডিইউকে না চটানোর লক্ষ্যে চিরাগের এলজেপিকে দূরেই সরিয়ে রাখা হয়েছিল। যদিও তাতে কোনও ভ্রুক্ষেপ ছিল না চিরাগের। কারণ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব সেভাবে চিরাগের বিরুদ্ধে মুখ খোলেনা।
মোদী বুঝিয়ে দিলেন এনডিএতে জায়গা নেই এলজেপির
তবে এদিন বিহারে দ্বিতীয় দফায় নির্বাচনী প্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রী এলজেপি বা চিরাগের নাম নিয়েও বুঝিয়ে দিলেন যে বিহারে এনডিএ জোটে কোনও স্থান নেই পাসোয়ান জুনিয়রের। বুধবার দ্বারভাঙায় নির্বাচনী জনসভায় যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে তিনি বলেন, 'বিহারে এনডিএ জোটে রয়েছে বিজেপি, জেডিইউ, ভিআইপি ও হিন্দুস্তান আওয়াম মোর্চা।' লোক জনশক্তি পার্টি এনডিএ-র শরিক নয়, সরাসরি এ কথা না-বলেও, চিরাগকেকে বাদ দেওয়ার কথা বলে গেলেন এদিন।
অযোধ্যা ইস্যুতে নীতীশকে খোঁচা
আজ মোদী বলেন, 'রাম মন্দির নির্মাণে বিলম্ব নিয়ে যাঁরা আওয়াজ তুলেছিলেন এখন তাঁরা করতালি দিচ্ছেন।' আজ প্রধানমন্ত্রীর প্রচারে ছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। তাঁকে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে উল্লেখ করেন মোদী। বিহারের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য নীতীশ কুমারের প্রশংসা করেন তিনি।
জঙ্গলরাজ কটাক্ষ তেজস্বীকে
কংগ্রেস-আরজেডি জোট বা তেজস্বী যাদবের নাম না করে প্রধানমন্ত্রী মোদী এদিন আরও বলেন, 'যারা এতদিন জঙ্গলরাজ চালিয়েছিল বিহারের মানুষ তাদের উৎখাত করবে। সাধারণ মানুষের জীবন আগে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল। আমাদের মা-বোনেরা স্বাভাবিকভাবে বাঁচতে পারছিলেন না।'
আরও যা বলেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি আরও অভিযোগ করেন, 'কৃষি ঋণের নামে আগে আর্থিক তছরুপ হত। চাকরি দেওয়ার নামে ঘুষ নেওয়া হত। কিন্তু এনডিএ সরকার উন্নয়নের জন্য কাজ করেছে। তাই লোভী ও স্বার্থান্বেষী মানুষের থেকে সতর্ক থাকতে হবে বিহারের মানুষকে। বিহারে এনডিএ সরকার ক্ষমতায় আসার আগে যারা প্রশাসন চালিয়েছে, তারা কমিশন নিয়ে এত চিন্তিত যে মিথিলার মতো জায়গার জন্য কোনও উন্নয়নমূলক কাজ হয়নি। কোশি মহাসেতুর মতো প্রকল্প এনডিএ সরকার ক্ষমতায় আসার পর সম্পন্ন হয়েছে।'
প্রচারে নেমে নীতীশকেই কটাক্ষ মোদীর! বিহারের রাজনৈতিক সমীকরণে নয়া মোড়?