৬৭ দিনের ব্যপ্তি এখন চার দিনে! করোনার ব্যাপকতার ব্যাখ্যায় মোদীর সাবধান বাণী
৬৭ দিনের ব্যপ্তি এখন চার দিনে! করোনার ব্যাপকতার ব্যাখ্যায় মোদীর সাবধান বাণী
২০২০-র জানুয়ারি থেকে করোনা ভাইরাতের প্রাদুর্ভাব বাড়তে শুরু করেছিল। প্রতিবেশী দেশ চিনের উহানা থেকে উৎপত্তি এই করোনার, এখন তা ইউরোপ-আমেরিকার কাছে ত্রাসে পরিণ হয়েছে। ভারত-সহ এশিযার অন্যান্য দেশেও মারীভয় হয়ে উঠেছে করোনা। কিন্তু কী করে তা বিশ্ব মহামারী হয়ে উঠল, তার ব্যাখ্যা করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
হু-র রেকর্ড তুলে ধৎলেন মোদী
মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানান, হু-র রেকর্ড বলছে- এই মহামারীতে এক সপ্তাহে লক্ষ লক্ষ মানুষ আক্রান্ত হতে পারে। ফলে এটা আগুনের মতো ছড়িয়ে পড়তে পারে। আর সেভাবেই ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের বুকে। করোনা ভাইরাসের ব্যাপ্তির ইতিহাস সে কথাই বলছে।
৬৭ দিনের ব্যপ্তি চার দিনে
মোদী বলেন, বিশ্বজুড়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এক লক্ষে পৌঁছতে ৬৭ দিন সময় লেগেছিল। তার পরে মাত্র ১১ দিনে আরও এক লক্ষ মানুষ আক্রান্ত হন করোনায়। আর দুই থেকে তিন লক্ষে পৌঁছতে সময় লাগে মাত্র চার দিন। ফলে আপনি আন্দাজ করতে পারবেন এই ভাইরাস কত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।
একমাত্র উপায় হল নিজেকে ঘরবন্দি রাখা
মোদীর কথায়, এই ভাইরাসকে যেভাবে হোক আটকাতে হবে। কিন্তু আটকানোর উপায় কী! একমাত্র উপায় হল নিজেকে ঘরবন্দি রাখা। এছাড়া দ্বিতীয় কোনও উপায় নেই। তাই ২১ দিন আমরা কেউ বাইরে বেরোব না। তাহলেই আমরা করোনা ভাইরাসকে হারাতে পারব।
শক্তিধর সমস্ত দেশ কাবু হয়ে গেছে
মোদী আরও বলেন, চিন, ইতালি, আমেরিকা, স্পেন, ইরানে করোনা ভাইরাস ছড়াতেই অবস্থা কাহিল হয়ে গিয়েছে। শক্তিধর সমস্ত দেশ কাবু হয়ে গেছে করোনার কাছে। সবারই মনে রাখা উচিত এই দেশগুলির স্বাস্থ্যব্যবস্থা দারুণ। তাও তারা সামাল দিতে পারেনি। এই করোনা ভাইরাস সামাল দেওয়ার একমাত্র উপায় ঘরবন্দি থাকা।
করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করছি
তিনি বলেন, করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করছি আমরা। এক্ষেত্রে বলা যেতে পারে, যে দেশে করোনা মোকাবিলা করা যাবে সফলভাবে তখনই, যখন নাগরিকরা সরকারের কথা শুনে চলবে। তারা বাইরে বেরোবে না। ফলে মন্ত্র একটাই, ঘর থেকে বেরোনো যাবে না। তাতে যা খুশি হয়ে যাক বাইরে। ঘরের দরজার লক্ষণরেখা পেরোনো যাবে না কিছুতেই।
ধৈর্য ও অনুশাসনের সময় এটা
এই সময় হল ধৈর্য ও অনুশাসনের সময়। দেশে যতক্ষণ লকডাউনের সময় চলছে তা পালন করুন। ঘরে থেকে সেই মানুষের কথা ভাবুন যারা নিজেদের কথা না ভেবে অন্যদের জন্য কাজ করছে। ডাক্তার, নার্স, প্যারা মেডিক্যাল স্টাফ, সাফাই কর্মচারী যারা দিনরাত সকলকে সুস্থ করতে দিনভর কাজ করে চলেছেন, আপনারা এদের জন্য প্রার্থনা করুন।