আজ আকাশপথে কেরলের বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে মোদী, দেখুন বিধ্বস্ত কেরলের ছবি
কথা ছিল শুক্রবার সকালেই কেরলের বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করবেন। কিন্তু, অটল বিহারী বাজপেয়ীর শেষকৃত্য অনুষ্ঠানের জন্য তা আর সম্ভব হয়নি। ফলে প্রধানমন্ত্রীর কেরল সফরের সময় পিছিয়ে যায়।
কথা ছিল শুক্রবার সকালেই কেরলের বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করবেন। কিন্তু, অটল বিহারী বাজপেয়ীর শেষকৃত্য অনুষ্ঠানের জন্য তা আর সম্ভব হয়নি। ফলে প্রধানমন্ত্রীর কেরল সফরের সময় পিছিয়ে যায়। কিন্তু, রাতের মধ্যেই কেরলের তিরুঅনন্তপুরমে পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী। বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান রাজ্যপাল পি সাথাশিবম, মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন এবং কেরলের পর্যটনমন্ত্রী কে জে আলফানসো। আজ আকাশপথে কেরলের বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করবেন নরেন্দ্র মোদী।
সকালেই তিরুঅনন্তপুরম থেকে বিমানে কোচিতে পৌঁছন নরেন্দ্র মোদী। সেখানে তিনি ত্রাণ শিবিরে থাকা বন্যা দুর্গতদের সঙ্গে কথা বলবেন। এরপরই আকাশপথে তাঁর বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করার কথা।
Prime Minister Narendra Modi arrives in Kochi. #KeralaFloods pic.twitter.com/188CsnTZ3L
— ANI (@ANI) August 18, 2018
এদিকে, ক্রমশই কেরলের বন্যা পরিস্থিতির ভয়ানক চেহারাটা সামনে আসছে। গত ৮ অগাস্ট থেকে এখন পর্যন্ত কেরলে বন্যায় ১৯৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। বন্যায় বিধ্বস্ত কেরলের ১৪টি জেলা। সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ত্রিসুরে। সেখানে ৪২ জন মারা গিয়েছেন। বায়ানাড়ে সবচেয়ে বেশি ঘর-বাড়ি ও সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে। এরপরেই রয়েছে পালাকাড়। মালাপ্পুরমে ফসলের ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি।
|
বন্যায় প্রভাবিত ৩ লক্ষেরও বেশি মানুষ
এদের মধ্যে অনেককেই ত্রাণ শিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবু এখন বহু স্থানে জলবন্দি হয়ে রয়েছে মানুষ। চেঙ্গান্নুরের মান্নার শহরে অন্তত ১০ হাজার লোক জলবন্দি। বন্যায় এই শহরে ঢোকার সমস্ত রাস্তা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। সূত্রের খবর যে ৩.৩ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন তাদের মধ্যে ৯০ শতাংশ মানুষেরই ভিটে-মাটি জলে ধুয়ে গিয়েছে।
|
পানীয় জল পাঠাল তামিলনাড়ু
তামিলনাড়ুর ইরোডে থেকে শুক্রবার বিকেলে কেরলের বন্যা বিধ্বস্ত এলাকায় ২.৮ লক্ষ পানীয় জল পাঠানো হয়।
|
কার্যত ভেনিস এখন আলাপ্পুঝা
আলাপ্পুঝা শহরের ভিতরে জল ঢুকে পড়েছে। এই শহরে এখন কোথাও কোথাও বুক সমান জল। এই পরিস্থিতি শুক্রবার শহরের মধ্যে নৌকা নামিয়ে চলে উদ্ধার কাজ।
|
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক থেকে পাঠানো হল ত্রাণ
১৩০০ লাইফ জ্যাকেট, ৫৭১টি লাইফবয়, ১০০০ রেনকোট, ১৩০০ গামবুট, ১২০০- রেডি টু ইট মিল, ১৫০০টি ফুড প্যাকেট, ২৫টি মোটোরাইসড বোট-সহ আরও বিভিন্ন সরঞ্জাম কেরলে পাঠানো হয়েছে।
|
উদ্ধার কাজে নৌসেনার জাহাজ
কেরলে বন্যা দুর্গতদের উদ্ধারে নৌসেনার জাহাজও নামানো হয়েছে। শুক্রবারই মুম্বই থেকে আরও একটি নৌসেনা জাহাজকে কেরল উপকূলের উদ্দেশে পাঠানো হয়। কোচিতে নৌসেনা ঘাঁটিতে আশ্রয় নিয়েছিলেন ৩১৫ জন। এর মধ্যে ৩৫ জন পরে তাঁদের নিকটবর্তী আত্মীয়দের বাড়িতে চলে গিয়েছে।
|
সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে অন্য রাজ্য
তেলেঙ্গানা সরকার কেরলের বন্যা দুর্গতদের জন্য ২৫ কোটি টাকার সাহায্য়ের কথা ঘোষণা করেছে। এরসঙ্গে এই রাজ্য থেকে ২.৫০ কোটি টাকার ওয়াটার পিউরিফায়ার মেশিন পাঠানো হচ্ছে। ১০কোটি টাকার আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছে অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার।
|
বিমানের ভাড়া কম করতে নির্দেশ
ডিজিসিএ জানিয়েছে তিরুঅনন্তপুরমমুখী বা তিরুঅনন্তপুরম থেকে আসা ৩২টি রুটের বিমান ভাড়ায় নজরদারি রাখা হয়েছে। এই রুটগুলিতে যাতে বিমানভাড়া স্বাভাবিক রাখা হয় তার জন্য বিমান পরিষেবা দেওয়া সংস্থাগুলো নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
|
আজ থেকে বিশেষ ট্রেন
তিরুঅনন্তপুরম, এরনাকুলাম ভায়া আলাপ্পুঝা দিয়ে বিশেষ ৩২টি ট্রেন চালানোর কথা ঘোষণা করেছে রেল। এদিকে, শুক্রবার থেকে কর্ণাটক ও কেরলের মধ্যে যাতায়াত করা ১৭টি ট্রেনকে বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। ৮টি ট্রেনের গন্তব্যস্থল কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। ২টি ট্রেনের রুট ঘুরিয়ে দেওয়া হয়।