'হাতে'ই যেত ১ টাকায় ৮৫ পয়সা! কটাক্ষ কংগ্রেসের গরিবি-র স্লোগান নিয়েও, আর যা বললেন মোদী
রাফালে ইস্যুতে নীবর থেকেই কংগ্রেসকে কড়া আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সরকার কোনও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নয় দাবি করে, প্রধানমন্ত্রী বলেন,বর্তমানে উন্নয়নের জন্য পুরো টাকাটাই পৌঁছে যাচ্ছে।
রাফালে ইস্যুতে নীবর থেকেই কংগ্রেসকে কড়া আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর সরকার কোনও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নয় দাবি করে, প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে উন্নয়নের জন্য পুরো টাকাটাই পৌঁছে যাচ্ছে শেষ পর্যন্ত।
ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিজেপি সরকার সামাজিক প্রকল্পগুলির সুবিধা প্রাপকদের সিস্টেমে কিছু পরিবর্তন করেছে। যাতে তা সব লোকের কাছে পৌঁছয় সে ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ছত্তিসগড়ের যঞ্জীব চম্পায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে যা রাস্তা তৈরি হয়েছে, তার থেকে বেশি রাস্তা তৈরি হয়েছে গত চার বছরে।
এর আগে কি রোড ট্রান্সপোর্ট অ্যান্ড হাইওয়ে ডিপার্টমেন্ট টাকা পেত না? আগে কি ইঞ্জিনিয়ার ছিল না ? আগে কি মানুষ দাবি করেনি? কেন আগে এত রাস্তা তৈরি হয়নি? এমনই সব প্রশ্ন করেন প্রধানমন্ত্রী। নিজেই অবশ্য সেই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন মোদী। প্রধানমন্ত্রী কংগ্রেসের এক প্রধানমন্ত্রীর নাম উল্লেখ করে বলেন, তিনি বলেছিলেন এক টাকার মাত্র ১৫ পয়সা গ্রামবাসীদের উন্নয়নের জন্য নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছয়।
কংগ্রেসের নির্বাচনী প্রতীকের দিকে লক্ষ্য করে প্রধানমন্ত্রীর কটাক্ষ, এই হাতই টাকার মূল্য ১৫ পয়সায়য় নামিয়ে দিয়েছিল।
তবে বর্তমানে সেই উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে একটি মাত্র কারণে। তখন ১৫ পয়সার কাজ হত। আর এখন ১০০ পয়সার কাজ হচ্ছে। সেই জন্যই এখন উন্নয়নের কাজ চোখে পড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর আরও বলেন, গরিব মানুষ সবসময়ই ঘরের দাবি করেন। আর রাজনৈতিক দলগুলি ভোটের সময় সেই প্রতিশ্রুতিও দেয়। কিন্তু এই আমলে সেটা ঘটেনি।
গরিবি
দূরীকরণ
নিয়েও
মোদী
খোঁচা
দিয়েছেন
কংগ্রেসকে।
একসময়ে
গরিবি
দূরীকরণ
নিয়ে
বড়
স্লোগান
শোনা
যেত।
সেই
সময়ই
কি
গরিবরা
ঘর
পেয়েছিলেন।
যদি
তা
হয়েও
থাকে,
তবে
কোনও
বড়
আধিকারিকের
পিওন
কিংবা
রাজনীতিবিদের
চাকর
সেটা
পেয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী
আরও
বলেছেন,
তাঁর
সরকার
পদ্ধতির
পরিবর্তন
করেছে।
জাতি,
ধর্ম
কিংবা
ভোটব্যাঙ্কের
নিরিখে
কোনও
পরিবর্তন
করা
হয়
না
বলে
মন্তব্য
করেছেন
তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তাঁদের সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ২০২২ সালে স্বাধীনতার ৭৫ বছরে দেশের সব গরির পরিবারের মাথায় ছাদ থাকবে। তিনি বলেন, প্রথমে সরকার যখন গ্রামে টয়লেট করার সিদ্ধান্ত নেয়, তখন, সেসব লোক ভোট দিয়েছিল নির্দিষ্ট দলকে , তাদের সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু সরকার সিদ্ধাান্ত নেয়, যদি টয়লেট বানাতেই হয়, তাহলে সবার জন্যই তা তৈরি করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, কংগ্রেস সরকার স্বাধীনতার পর থেকে যে সংখ্যায় এলপিজি সংযোগ দিয়েছে, বর্তমান সরকার ঠিক তত সংখ্যায় এলপিজি সংযোগ দিয়েছে গত চারবছরে।