বিশ্বমঞ্চে আফগানিস্তান নিয়ে মুখ খুললেন মোদী, এসসিও সামিট-এ প্রধানমন্ত্রী বার্তা একনজরে
বিশ্বমঞ্চে আফগানিস্তান নিয়ে মুখ খুললেন মোদী, এসসিও সামিট-এ প্রধানমন্ত্রী বার্তা একনজরে
সাংহাই কর্পোরেশন অর্গানাইজেশন সামিট আয়োজিত হচ্ছে তাজিকিস্তানের দশানবেতে। সেখানে একটি অংশ ভার্চুয়ালভাবে অন্য অংশটি সেখানে উপস্থিত থেকে প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করছেন। ভারত, পাকিস্তান, চিন সহ একাধিক দেশের প্রতিনিধিরা সেখানে উপস্থিত। এই বৈঠকে ভারত দুই তরফা প্রতিনিধিত্ব করছে। তাজিকিস্তানে এই বৈঠকে অংশ নিতে পৌঁছে গিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। অন্যদিকে, ভার্চুয়াল মিটে যোগ দিয়েছেন গিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। অনুষ্ঠানের প্লেনারি সেশনে এদিন বক্তব্য রাখেন মোদী। দেখে নেওয়া যাক তিনি এদিন কী বলেছেন?
প্রসঙ্গ আফগানিস্তান
মোদী এদিনের অনুষ্ঠানে বলেন, বর্তমান এসসিও বৈঠকই বলে দিচ্ছে যে আগামীর এসসিও বৈঠক কী কী বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। একই সঙ্গে তিনি বলেন, এই মুহূর্তে বড় চ্যালেঞ্জ হল শান্তি, স্বচ্ছ্বতা, ও বিশ্বাস যোগ্যতার অভাব সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ। পাশপাশি তিনি বলেন, অন্যান্য বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মধ্যে আগামীন সময়ে কট্টরপন্থা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে চলেছে। সেই জায়গা থেকে আফগানিস্তানের পরিস্থিতি একটি বড় দৃষ্টান্ত, বলে মোদী মন্তব্য করেন। একই সূত্র ধরে মোদী বলেন, ফলে আফগানিস্তানের বুকে শান্তি ফিরিয়ে আনতে আমাদের সকলকে সচেষ্ট হতে হবে বলে জানান মোদী।
প্রসঙ্গ পারস্পরিক সংযোগ
বিভিন্ন দেশের মধ্যে পারস্পররিক সংযোগ বা দ্বিপক্ষিক যোগযোগে দুটি পক্ষের সমান অবস্থান যে গুরুত্বপূর্ণ তা জানান দিয়েছেন মোদী। তিনি বলেন ,'সংযোগ কখনওই এক পাক্ষিক হয় না। ' প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে এদিন উঠে আসে, দ্বিপাক্ষিক আলোচনা, সহযোগিতা, স্বচ্ছ্বতাকে সামনে রেখেই সংযোগ স্থাপন সম্ভব হয়। তএটি ভিন্ন ছাড়া কিছুতেই এক পাক্ষিক সংযোগ স্থাপিত হয় না। কার্যত চিন পাকিস্তান এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকাকালীন মোদী বলেন , একটি দেশের উচিত অন্যদেশের সীমানার ভিতর তাদের আভ্যন্তরীণ একাত্মভাবকে সম্মান করা।
স্বাগত জানান ইরানকে
'মধ্য এশিয়ার দেশগুলির সঙ্গে সংযোগ বাড়াতে ভারত বদ্ধপরিকর। ' বলে মন্তব্য করেন মোদী। তিনি বলেন,'আমরা বিশ্বাস করি চারিদিকে দেশ দিয়ে ঘেরা মধ্য এশিয়া ভারতের বাজারে বিপুল বাণিজ্য করতে পারবে।' এই বক্তব্যের সঙ্গে মোদী এই এসসিও সামিটে স্বাগত জানান নয়া সদস্য ইরানকে। এদিনের সামিটের তিনটি নতুন 'ডায়লগ পার্টনার' দেশ হিসাবে সৌদি, মিশর , কাতারকে স্বাগত জানান মোদী।
এসসিও ও ভারত
এদিন কার্যত কৌশলী চালে একদিকে আফগানিস্তান পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুলে নরেন্দ্র মোদী পাকিস্তান ও চিনকে সীমান্ত ও সার্বভৈমত্বের বিষয়ে পাঠ পড়িয়েছেন। অন্যদিকে, চিনের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বৈঠকে বসেন। ফলে সর্বোতভাবে বিভিন্ন কূটনৈতিক দিক থেকে এই সামিট দিল্লির কাছে গুরুত্বপূর্ণ।