মমতার পথেই মোদী! দিল্লিতে জরুরি বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী
দলের তপশিলি সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী কার্যত পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনুসরণ করতে চলেছেন। ১ জুলাই রাজ্যের তপশিলি ভুক্ত বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

দলের তপশিলি সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করবেন মোদী
সারা ভারতে সাংসদ বেড়ে বিজেপির। তা ছাড়াও রয়েছেন রাজ্যসভায় দলের সাংসদরা। এবার তাদের সবার সঙ্গেই যোগাযোগ গড়ে তুলতে চান প্রধানমন্ত্রী। তাই বিধায়কদের সাতটি ক্যাটেগরিতে ভাগ করে বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ক্যাটেগরির মধ্যে রয়েছে মহিলা, ওবিসি, এসসি, এসটি। বৃহস্পতিবার সকালে এসসি এসটি সাংসদদের নিয়ে বৈঠকটি হবে ববে জানা গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ৭ লোক কল্যাণ মার্গে এই বৈঠকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।

সোমবার বৈঠক করেছেন মমতা
সোমবার বিধানসভায় সবদলের এসসি এসটি বিধায়ক নিয়ে বৈঠক করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে ৮৪ জন তপশিলিভুক্ত বিধায়ক রয়েছেন। সবাই ডাক পেয়েছিলেন এই বৈঠকে। রাজনীতিবিদদের একাংশের মতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই চেষ্টা হল বাম ও কংগ্রেসকে কাছে টানার চেষ্টা।

মমতার নীতিতে পরিবর্তন
২০১১ সালে রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকে বামেদের বয়কট শুরু করেছিল তৃণমূল। তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী তো বিয়েবাড়িতেও সিপিএম-এর পাশে না বসার নিদান দিয়েছিলেন। অভিযোগ, পরবর্তী সময়ে মুখ্যমন্ত্রী জেলা সফরে জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে অবজ্ঞার স্বীকার হয়েছিলেন বাম জনপ্রতিনিধিরা। পরবর্তী কালে সেই তালিকায় যুক্ত হন কংগ্রেসের জন প্রতিনিধিরাও। যদিও লোকসভা ভোটে রাজ্যে বিজেপির বাড়বাড়ন্তের পরেই মুখ্যমন্ত্রী
কথায় ও কাজে পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিধানসভায় তিনি মান্নানভাই আর সুজনদাকে একসঙ্গে কাজ করার আমন্ত্রণ জানিয়য়েছিলেন। এবার তপশিলি বিধায়কদের
নিয়ে করলেন বৈঠক।