প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীদের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক, আলোচনায় লকডাউনের মেয়াদবৃদ্ধি নিয়ে কথা
দেশ জুড়ে চলছে ২১ দিনের লকডাউন। আপাতত ১৪ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত এই লকডাউন চলার কথা। ইতিমধ্যেই দুটি রাজ্য লকডাউনের সময় বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছে। বেশ কয়েকটি রাজ্য লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর দাবি জানিয়
দেশ জুড়ে চলছে ২১ দিনের লকডাউন। আপাতত ১৪ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত এই লকডাউন চলার কথা। ইতিমধ্যেই দুটি রাজ্য লকডাউনের সময় বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছে। বেশ কয়েকটি রাজ্য লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে শনিবার প্রধানমন্ত্রী রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন।
৩০ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন বাড়িয়েছে ওড়িশা, পঞ্জাব
ওড়িশা ও পঞ্জাব সরকার সেই রাজ্যে লকডাউনের সময়সীমা আপাতত ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছে।
লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর দাবি বেশ কয়েকটি রাজ্যের
লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর দাবি করেছে বেশ কয়েকটি রাজ্য। সেইসব রাজ্যগুলির মধ্যে রয়েছে উত্তর প্রদেশ, তেলেঙ্গানা, মহারাষ্ট্র, কর্নাটকের মতো রাজ্যগুলি লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির দাবি করে বলেছে, লকডাউন বাড়ানো হলে পরিস্থিতির মোকাবিলা করা সহজ হবে। এই তালিকায় রয়েছে রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, পণ্ডিচেরীও।
লকডাউনই একমাত্র উপায়
প্রধানমন্ত্রী বুধবার বলেছিলেন, দেশের মানুষকে বাঁচাতে লকডাউনই একমাত্র উপায়। সেই সময় তিনি লকডাউন তোলার কোনও কথাই বলেননি। বরং লকডাউন আরও বাড়ানো হবে বলে ইঙ্গিত করেছিলেন। বলেছিলেন জীবন কখনই করোনা ভাইরাসের আগের পরিস্থিতিতে ফিরবে না। সময় আসবে যখন মানুষ বলবে, করোনার আগে ও করোনার পরের পরিস্থিতি।
প্রধানমন্ত্রী সেদিন বলেছিলেন তিনি মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলেছেন। কিন্তু কেউই লকডাউন তুলে নেওয়ার কথা বলেননি। সোস্যাল ডিস্ট্যান্সিং বজায় রাখতে জোর দিয়েছিলেন তিনি।
লকডাউনের পক্ষে বিশেষজ্ঞরা
বিশেষজ্ঞরা লকডাউনের পক্ষে মত প্রকাশ করেছেন। তাঁরা বলছেন, যদি লকডাউন তুলে দেওয়া হয়, তাহলে মানুষ ঘর থেকে বেরিয়ে পড়বেন, মুক্তভাবে মেলা মেশা করবেন। যার ফলে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাবে। তবে টানা লকডাউন চলতে থাকলে দেশে অর্থনীতির প্রভূত ক্ষতি হবে বলেও জানিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা।