কবে মন্দিরে 'হাত' মোদীর! জানালেন ভিএইচপি নেতা, বাড়ল 'চাপ'
১১ ডিসেম্বরের পর উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হবে। সেই বৈঠকের রামমন্দির নির্মাণের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে. অযোধ্যায় এমনটাই বলেছেন বিশ্ব হিন্দুপরিষদ নেতা রামভদ্রাচার্য।
১১ ডিসেম্বরের পর উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হবে। সেই বৈঠকে রামমন্দির নির্মাণের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে. অযোধ্যায় এমনটাই বলেছেন বিশ্ব হিন্দুপরিষদ নেতা রামভদ্রাচার্য। তাঁর আরও দাবি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ১১ ডিসেম্বরের পর রামমন্দির তৈরির ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। ১১ ডিসেম্বরেই বেরোবে ৫ রাজ্যের ভোটের ফল।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে কথা
ভিএইচপি নেতা জানিয়েছেন, ২৩ নভেম্বর তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের বর্ষীয়ান মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি জানাতে বারণ করায় নাম বলা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন ভিএইচপি নেতা। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, রামমন্দিরের জন্য কতদিন অপেক্ষা করতে হবে। উত্তরে তিনি জানিয়েছেন, ১১ ডিসেম্বরের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে বৈঠক হবে। সেই বৈঠকেই রামমন্দির নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তাঁদের বিশ্বাস, সেই বৈঠক রামমন্দির নির্মাণকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে।
প্রসঙ্গত পাঁচ রাজ্যে বিধানসভার ফল ঘোষণা করা হবে ১১ ডিসেম্বর। সেক্ষেত্রে ভোটের ফল দেখেই যে মন্দির নির্মাণের কর্মসূচিতে হাত দেওয়ার সম্ভাবনা তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
কেন্দ্রের ওপর চাপ
আরএসএস, ভিএইচপি এবং শিবসেনার তরফে অযোধ্যা ছাড়াও, নাগপুর, বেঙ্গালুরু-সহ বিভি জায়গায় অনুষ্ঠানের আযোজন করা হয়েছিল রামমম্দির নির্মাণের দাবিকে জোরদার করতে। কেন্দ্রের ওপর চাপ তৈরি করাও এইসব অনুষ্ঠানের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল। যদিও রামমন্দির নির্মাণের বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের বিবেচনাধীন রয়েছে।
কড়া পুলিশি বন্দোবস্ত
অযোধ্যাকে ঘিরে কড়া পুলিশি বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। সেখানে রাখা হয়েছিল একজন এডিজিপিকে। একজন ডিআইডি, তিনজন এসএসপি, দশজন এএসপি, ২১ জন ডিএসপি, ১৬০ জন ইনস্পেক্টর, ৭০০ কনস্টেবল, ৪২ কোম্পানি পিএসি, ৫ কোম্পানি র্যাফ, এটিএস কমান্ডো এবং ড্রোন ক্যামেরাও রাখা হয়েছিল সেখানে।
এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ
২৯ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্ট রামজন্মভূমি-বাবরি সমজিদ মামলা মুলতুবি করে দেয় জানুয়ারি ২০১৯ পর্যন্ত। ২০১০-এ এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের করা হয়েছিল সর্বোচ্চ আদালতে। ২০১০-এ এলাহাবাদ হাইকোর্ট অযোধ্যার বিতর্কিত জমি তিনভাগে ভাগ করার কথা বলেছিল। একভাগ নির্মোহী আখরা, একভাগ সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড এবং আরেকভাগ রামলালাকে দেওয়ার আদেশ দিয়েছিল আদালত।
(প্রতীকী ছবি সৌজন্য: পিটিআই)