মোদীর অহংয়ে আঘাত! কংগ্রেসকে পাল্টা গণতন্ত্রের পাঠ পড়ালেন প্রধানমন্ত্রী
এবার থেকে জম্মু ও কাশ্মীরের সব মানুষ পেতে চলেছেন বিনামূল্যে স্বাস্থ্যবীমা। আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উপত্যকায় আয়ুষ্মান ভারতের প্রকল্পের শুভ সূচনা করলেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এই প্রকল্পে জম্মু কাশ্মীরের ১ কোটি ৩০ লক্ষ মানুষ উপকৃত হবে। এদিন এই অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকেই ফের কৃষি আইন নিয়ে সরব মোদী। এদিন তিনি বলেন, 'দিল্লিতে কয়েকজন আমাকে গণতন্ত্রের পাঠ ষেখাতে চাইছে।'

কংগ্রেসকে মোদীর খোঁচা
এদিন তিনি কংগ্রেসকে খোঁচা দিয়ে বলেন, 'কেন্দ্র শাসিত রাজ্য হওয়ার পর এত কম দিনের ব্যবধানেই কাশ্মীর নির্বাচন করিয়ে দেখিয়ে দিল। তাও পুদুচেরি সুপ্রিমকোর্টের রায়কে অমান্য করে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করছে না। আর দিল্লিতে এসে কয়েকজন নেতা আমাকে গণতন্ত্রের শিক্ষা দিতে চাইছে।' এছাড়া কিষাণ নিধি প্রকল্পে কাশ্মীরের কৃষকরা উপকৃত হয়েছেন বলেও দাবি করা হয়।

কৃষকদের হয়ে ফের সরব হন রাহুল
উল্লেখ্য, এদিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষকদের হয়ে ফের সরব হন রাহুল গান্ধী। শনিবার সকালে তিনি এই বিষয়ে একটি টুইট করে লিখেছেন, মাটির প্রতিটি কণা আওয়াজ তুলছে। সরকারকে শুনতেই হবে। এর আগেও তিনি মোদীকে আক্রমণ করে বলেছিলেন দেশে গণতন্ত্র নেই। এরই জবাবে আজ মোদী এই আক্রমণ শানান বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে যে আন্দোলন চলছে
এদিকে কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে যে আন্দোলন চলছে, তা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে ফের আলোচনায় বসতে পারেন প্রতিবাদী কৃষকরা। এমনই ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে। ওই কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে কেন্দ্রের তরফে একটি চিঠি পাঠানো হয়।

নিজেদের মধ্যে আলোচনা কৃষকদের
আন্দোলনকারী কৃষক সংগঠনগুলি শুক্রবার নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে। তার পরই কেন্দ্রের সঙ্গে কৃষকদের আলোচনা নিয়ে এই ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। তবে এই নিয়ে শনিবার আরও একটি বৈঠক হবে বলে তারা জানিয়েছে। কৃষক সংগঠনের এক নেতা জানান, ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিয়ে সরকারি তরফে সুনিশ্চিত করতে হবে। এই দাবি থেকে তাঁরা সরছেন না।

তাঁদের দাবি সরকারের কাছে বোঝাতে চান
সরকারের চিঠিতে যেহেতু কোনও প্রস্তাব নেই, তাই তাঁরা আরও একবার আলোচনায় বসতে আগ্রহী। আর তাঁদের দাবি সরকারের কাছে বোঝাতে চান। অন্য এক নেতার কথায়, সরকারি আইনে বেসরকারি মান্ডির কথা বলা হয়েছে। কিন্তু সেক্ষেত্রে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য কীভাবে সুনিশ্চিত হবে।

প্রতিবাদী কৃষকদের জন্য বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হোক
এদিকে শুক্রবার কিষাণ সংঘর্ষ কোঅর্ডিনেশন কমিটি কেন্দ্রের কাছে দাবি করেছে, প্রতিবাদী কৃষকদের জন্য বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করতে। যাতে দেশের বিভিন্ন অংশ থেকে কৃষকরা সেখানে উপস্থিত হতে পারেন। দিল্লির সিঙ্ঘু, টিকরি ও গাজিপুর সীমানায় ৪০টি কৃষক সংগঠন আন্দোলন করছে। সেই আন্দোলনকারীরাই গড়ে তুলেছেন সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা।