মোদীর 'মন কি বাতে' চিকিৎসক ও করোনায় সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তিও, জানালেন তাঁদের অভিজ্ঞতার কথা
মোদীর 'মন কি বাতে' চিকিৎসক ও করোনায় সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তিও, জানালেন তাঁদের অভিজ্ঞতার কথা
দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে কত জন সুস্থ হয়ে উঠছেন, কিংবা রোগ মুক্তির পর তাঁদের প্রতিক্রিয়া নিয়ে অনেকেই অন্ধকারে। এদিন মন কি বাত অনুষ্ঠানে সেই সমস্যার সমাধান করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন মন কি বাত অনুষ্ঠানে ছিলেন সুস্থ হয়ে ওঠা আকাশ কাপুর এবং দিল্লির চিকিৎসক নীতীশ শর্মার মতো ব্যক্তিরা।
মন কি বাতে, রোগ থেকে মুক্ত হওয়ারা
এদিন প্রধানমন্ত্রী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলেও, রোগ মুক্তির পর কয়েকজন রোগীর অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, অন্ধ্রপ্রদেশের রামগম্পা তেজা মধ্যপ্রাচ্য থেকে এসে করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। পরে সুস্থ হয়ে ওঠেন। কী কী করে তিনি সুস্থ হয়ে উঠেছেন সেটা জানিয়ে সকলকে সচেতন করার চেষ্টা করেছেন তিনি।
এই তালিকায় রয়েছেন আগ্রার আকাশ কাপুর। তিনি জানিয়েছেন, দুই ছেলে ও জামাই ইতালি থেকে ফেরেন। তাঁরা আক্রান্ত হন। পরীক্ষায় পজিটিভ হন পরিবারের মোট ছয় জনই পজিটিভ ছিলেন। এবং সরকার বিনা খরচে তাঁদের সাহায্য করে নসফদরজং হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে ভর্তি করা হয়। ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছিল। পরে সুস্থ হয়ে ওঠেন।
মন কি বাতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাওয়া চিকিৎসকরা
দিল্লির চিকিৎসক নীতীশ শর্মা এদিন নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানান। দিনরাত কাজ করে চলেছেন তাঁরা। সীমান্তে যেমন সেনা কাজ করে, সেভাবেই যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে তাঁরা কাজ করছেন। পাশাপাশি রোগীদের কাউন্সেলিংও করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন এই চিকিৎসক।
অভিজ্ঞতার কথা শুনিয়েছেন পুনের চিকিৎসক বোরসে। সেখানে তাঁরা রোগীকে সারিয়ে তুলতে অক্লান্ত চেষ্টা করছেন। অনেকেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এবং ভয় পাওয়ার কিছু নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি। লালা পরীক্ষা করে পজিটিভ পেলে হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে। আর নেগেটিভ হলে তাঁদের হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হচ্ছে। এভাবেই সকলকে উপদেশ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।
ফের চিকিৎসক ও নার্সদের বিমার কথা উল্লেখ
প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, সেবার আদর্শ নিয়ে চিকিৎসক ও নার্সরা কাজ করে চলেছেন। এটা দেখেই প্রায় ২০ লক্ষ এমন মানুষের জন্য সরকার ৫০ লক্ষ টাকার বিমা ঘোষণা করেছেন, যাতে তাঁরা আরও নিশ্চিন্তে কাজ করতে পারেন।
ই-কমার্স ও ই-পেমেন্টে জোর
প্রধানমন্ত্রী এদিন বর্তমান পরিস্থিতিতে ই-কমার্স, ব্যাঙ্ক থেকে শুরু করে ই-পেমেন্ট-এর ক্ষেত্রে বাড়িতে বসে সুবিধা পাওয়ার কথা উল্লেখ করেন। কিন্তু এই কাজের পিছনেও কেউ না কেউ রয়েছেন। তাঁরা কাজ করছেন। এই ধরনের কর্মীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি।
ইমোশনাল ডিস্ট্যান্সিং কমাতে হবে, করোনা ভাইরাস মোকাবিলা নিয়ে মন কি বাতে আর যা বললেন মোদী