মোদীর 'টাইমিংয়ে গন্ডগোল', ভিডিও চ্যাটে বিজেপি কর্মীদের চাঙা করতে গিয়ে শুনতে হল তীব্র কটাক্ষ
এক কোটির বেশি বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে জনসংযোগ করেছেন নরেন্দ্র মোদী।
এক কোটির বেশি বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে জনসংযোগ করেছেন নরেন্দ্র মোদী। যাকে বিজেপি বলছে বিশ্বের বৃহত্তম ভিডিও কনফারেন্স। সেই রাজনৈতিক গণজ্ঞাপনের সময় নিয়ে একটু ভুলচুক হয়ে গেল প্রধানমন্ত্রীর। দেশে অস্থিরতা ও উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কে আরও অবনতি হয়ে যুদ্ধের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এই অবস্থায় মোদীর ভিডিও কনফারেন্স ব্যুমেরাং হয়ে যেন তাঁকেই তাড়া করল।
মোদীর স্লোগান
বেশ কিছুদিন আগে বিজেপির জনসভায় স্লোগান তুলেছিলেন মোদী। মেরা বুথ সবসে মজবুত। আগামী লোকসভায় সেই স্লোগানকে মাথায় রেখেই বিজেপি কর্মীদের মাঠে নামার নির্দেশ দেন তিনি।
মোদীর জনসংযোগ
এদিনও ভিডিও কনফারেন্সের মূল থিম ছিল সেটাই। দেশের ১৫ হাজার লোকেশনে দলের কর্মীদের চাঙা করতে মোদী এই জনসংযোগ মূলক ভিডিও কনফারেন্স করেন। শুধু মোদী নন, অমিত শাহ ও অন্য দলীয় নেতারাও এতে অংশগ্রহণ করবেন।
|
বিরোধীদের তোপ
এই জনসংযোগকেই কটাক্ষ করেছে কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি সহ বিরোধী দলগুলি। যখন সীমান্ত অশান্ত হয়ে রয়েছে, যখন দেশের বীর বায়ুসেনা পাইলট পাকিস্তানের হেফাজতে রয়েছে, তখন এই অবস্থায় মোদীর ভিডিওর মাধ্যমে কর্মী সভা কতটা প্রয়োজনীয় ছিল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।
সূরযেওয়ালার কটাক্ষ
কংগ্রেসের কটাক্ষ, মোদী এই মুহূর্তে কী প্রয়োজন তা বোঝার মতো বোধ হারিয়েছেন। ফের নির্বাচনের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন। যখন দেশের বীর বায়ুসেনা পাইলট পাকিস্তানের হেফাজতে রয়েছে, তখন এই অবস্থায় মোদী কীভাবে ভিডিও কনফারেন্স করলেন তা নিয়েই কংগ্রেস প্রশ্ন করেছে।
বিপক্ষে কেজরিও
আম আদমি পার্টি নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালও মোদীকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী এই কর্মসূচি পিছিয়ে দিন। এই মুহূর্তে দেশ হিসাবে একজোট হয়ে, সর্বশক্তি দিয়ে বায়ুসেনা পাইলটকে ফেরাতে হবে পাকিস্তান থেকে।