মোদীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান:আমন্ত্রিত পুলওয়ামার শহিদ পরিবার
২৩ মে থেকে ৩০ মে , ২০১৯ সালের এই এক সপ্তাহ ভারতীয় গণতন্ত্রের ইতিহাসে নতুন অধ্যায় লিখেছে। বিপুল পরিমাণ ভোটে জনসমর্থন নিয়ে ফের একবার মসনদে মোদী ২.০ মন্ত্রিসভা। ২৩ মে ভোটের ফল জেতবার পর ৩০ মে শপথ নিতে
২৩ মে থেকে ৩০ মে , ২০১৯ সালের এই এক সপ্তাহ ভারতীয় গণতন্ত্রের ইতিহাসে নতুন অধ্যায় লিখেছে। বিপুল পরিমাণ ভোটে জনসমর্থন নিয়ে ফের একবার মসনদে মোদী ২.০ মন্ত্রিসভা। ২৩ মে ভোটের ফল জেতবার পর ৩০ মে শপথ নিতে চলেছে বিজেপির নেতত্বাধীন এনডিএ সরকার। আর সেই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যেমন দেশ বিদেশের একাধিক রাষ্ট্রনেতারা হাজির থাকছেন,তেমনই হাজির থাকছেন বাংলায় প্রয়াত বিজেপি কর্মীদের পরিবার থেকে পুলওয়ামায় শহিদ সেনা জওয়ানের পরিবারও।
এদিন ভোরেই দিল্লির 'অটল স্মৃতি'তে মাল্যদান করে দিন শুরু করেন মোদী। এদিকে,এই ঘটনার ২৪ ঘণ্টার কিছু কম সময় আগে, হাওড়ার রেল স্টেশনে রাজধানী এক্সপ্রেসের জন্য অপেক্ষা করছিল বাবলু সাঁতরার পরিবার। পুলওয়ামায় জঙ্গিদের নৃশংস হামলায় সেনা বাংলার বীর সেনা জওয়ান বাবলু সাঁতরা শহিদ হয়েছেন। তাঁর পরিবারের সদস্যরাই আজ আমন্ত্রিত দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর শপথ গ্রহণে। নদিয়ার এই পরিবার গতকালই রওনা হয়ে গিয়েছে দিল্লির উদ্দেশে। বাবলুর সন্তান হারা বাবারও খুব ইচ্ছে ছিল এই বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে যাওয়ার। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার জন্য তিনি তা পারেননি।
রওনা হয়েছেন শহিদ জওয়ানের স্ত্রী, মা ও একমাত্র মেয়ে। কয়েকমাস আগেই চোখের জলে, আর্তনাদে ভেসে গিয়েছিল এই পরিবার। দেশের জন্য এই পরিবারের আত্মত্যাগকে স্মরণ করেই দিল্লির বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বাবলু সাঁতরার পরিবারের মতো পুলওয়ামার শহিদদের বাকি পরিবারগুলিও গোটে দেশের বিভিন্ন অংশ থেকে এসে পৌঁছচ্ছে দিল্লিতে। পুলওয়ামায় শহিদদের প্রতিটি পরিবার আজ যোগ দিতে চলেছে প্রধানমন্ত্রীর শপথ গ্রহণে।
[আরও পড়ুন:আপনার স্বপ্নের মন্ত্রিসভা বেছে নিন]