এক তিরে দুই নিশানা! মোদীর লাদাখ সফরে 'চেকমেট' কংগ্রেস-চিন, মুখ বন্ধ সমালোচকদের
সবাইকে চমকে দিয়ে এদিন ভোরে লেহ-র নিমুতে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। জওয়ানদের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন। বায়ুসেনা, আটিবিপি-র সঙ্গে কথা বলেন মোদী। সেনা আধিকারিকরা পরিস্থিতির কথা জানান তাঁকে। এভাবে ফরোয়ার্ড বেসে প্রধানমন্ত্রী নিজে গিয়ে জওয়ানদের উদ্বুদ্ধ করায় তাঁর সমালোচকদের মুখ বন্ধ করালেন প্রধানমন্ত্রী।
মোদীর লাদাখ সফরে মুখ বন্ধ হবে কংগ্রেসের
গালওয়ানের সংঘর্ষের পর থেকেই মোদীকে একের পর এক তোপ দেগেছিলেন রাহুল গান্ধী। জওয়ানদের নিরস্ত্র ভাবে সীমান্ত রক্ষায় পাঠানো সহ একাধিক ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে প্রায় প্রতিদিনই প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে টুইট করেছেন। সর্বদলীয় বৈঠকে যখন সব দল কেন্দ্রের সুরে গলা মিলিয়েছে, তখনও বেসুরো গেয়েছেন কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধী। তবে মোদীর আজকের এই সফর তাঁর সমালোচকদের মুখ বন্ধ করে দিয়েছে।
ভারতীয় সেনাকে তাতিয়ে তোলেন প্রধানমন্ত্রী
চিনের তোয়াক্কা না করে এদিন ভারতীয় সেনাকে তাতিয়ে তোলেন প্রধানমন্ত্রী। সেনার উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি বলেন, 'আপনাদের বাহাদুরি অতুলনীয়। আপনার সাহস সেই সর্বোচ্চ অঞ্চলের চেয়ে বেশি যেখানে আপনারা সবাই অবস্থান করছেন। আপনাদের বাহু আপনাকে ঘিরে থাকা পাহাড়ের মতো শক্তিশালী। আপনার আত্মবিশ্বাস, সংকল্প এবং বিশ্বাস এখানের শিখরের মতো অটল।'
চিনকে একহাত নেন মোদী
এরপর চিনের নাম না করে মোদী বলেন, 'সম্প্রসারণবাদের যুগ শেষ, এটাই বিকাশ ও উন্নয়নের যুগ। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যে সম্প্রসারণবাদী শক্তিগুলি হেরে গেছে বা ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছিল। আমরা একই মানুষ যারা বংশীধারী ভগবান কৃষ্ণের কাছে প্রার্থনা করি। তবে আমরা প্রয়োজনে শ্রীকৃষ্ণকে সুদর্শন চক্র বহন করে বিনাশ করতে দেখেছি।'
পথ হারিয়েছে কংগ্রেস
আগে কথা ছিল যে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে লাদাখ পরিদর্শনে যাবেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ও সেনাপ্রধান মুকুন্দ নারভানে। তবে শুক্রবারের সেই সফর বাতিলের সিদ্ধান্ত নেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। চিনের পরবর্তী পদক্ষেপের অপেক্ষায় দিল্লি। আর সেই দেখে খেলার নীতি অনুসরণেই শুক্রবারের সফর বাতিল করার কথা জানায় রাজনাথের মন্ত্রক। তবে সীমান্ত সমস্যার মধ্যে কেন্দ্রের এই চমক হয়ত আশা করেনি বেজিংও। একই ভাবে মোদীর এই পদক্ষেপে বিরোধিতার পথ হারিয়েছে কংগ্রেসও।
সেনা আধিকারিকরা পরিস্থিতির কথা জানান মোদীকে
এদিন বায়ুসেনা, আটিবিপি-র সঙ্গে কথা বলেন মোদী। সেনা আধিকারিকরা পরিস্থিতির কথা জানান তাঁকে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রয়েছেন ভারতীয় সেনাপ্রধান এম এম নারাভানে। সিডিএস বিপিন রাওয়াত পূর্ব লাদাখের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেন প্রধানমন্ত্রীকে।
ভয় পেয়েছে চিন
তবে প্রধানমন্ত্রীর এই সফরকে ভালো চোখে দেখল না চিন। লেহ সফর নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বেজিং। চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান এই বিষয়ে বলেন, 'ভারত ও চিন সামরিক ও কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে উত্তেজনা কমানোর বিষয়ে যোগাযোগ এবং আলোচনা করছে। এই মুহুর্তে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হতে পারে এমন কোনও পদক্ষেপে কোনও পক্ষকেই অংশ নেওয়া উচিত নয়।'
চিনের উপর আরও কড়া নিষেধাজ্ঞা আরোপের পথে ভারত! দিল্লির সিদ্ধান্তে 'অন্ধকার' বেজিংয়ে এখন হাহাকার