পিএমওতে জমা সম্পত্তির হিসেবনিকেশ! গত একবছরে কোথায় দাঁড়িয়ে মোদী, অমিত শাহের সম্পত্তি
স্বাভাবিকভাবেই অনেকেরই আগ্রহ থাকে দেশের প্রশাসনের শীর্ষে থাকা কর্তাব্যক্তিদের সম্পত্তি নিয়ে। প্রধানমন্ত্রীর অফিসে প্রধানমন্ত্রী থেকে অন্য মন্ত্রীদের সম্পত্তির হিসেবনিকেশ জমা পড়েছে। সেখান থেকে জানা য
স্বাভাবিকভাবেই অনেকেরই আগ্রহ থাকে দেশের প্রশাসনের শীর্ষে থাকা কর্তাব্যক্তিদের সম্পত্তি নিয়ে। প্রধানমন্ত্রীর অফিসে প্রধানমন্ত্রী থেকে অন্য মন্ত্রীদের সম্পত্তির হিসেবনিকেশ জমা পড়েছে। সেখান থেকে জানা যাচ্ছে গতবছরের তুলনায় এবছরে মোদী (narendra modi) সম্পত্তির (wealth) পরিমাণ বেড়েছে। কিন্তু সম্পত্তি কমেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (amit shah)।
২৪ ঘন্টায় নতুন করে করোনা সংক্রমিত ৬৭,৭০৮ জন! ভারতের আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হওয়ার সময়ে বৃদ্ধি
সম্পত্তি বেড়েছে নরেন্দ্র মোদীর
এবছরের ৩০ জুন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সম্পত্তি ছিল ২.৮৫ কোটি টাকা। গত বছরের এই সময় তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ২,৪৯ কোটি টাকা। সম্পত্তি বৃদ্ধির পরিমাণ প্রায় ৩৬ লক্ষ টাকা। সম্পত্তি বৃদ্ধির মধ্যে রয়েছে ৩.৩ লক্ষ টাকা ব্যাঙ্কে ডিপোজিট এবং ৩৩ লক্ষ টাকার বাড়তি বিনিয়োগে। প্রধানমন্ত্রীর সর্বশেষ সম্পদ ঘোষণায় এই তথ্য পাওয়া গিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর সম্পত্তির হিসেব
২০২০-র জুনের শেষে প্রধানমন্ত্রী মোদীর হাতে নগদে ছিল মাত্রা ৩১,৪৫০ টাকা। এসবিআইএ-র গান্ধীনগরের এনএসসি শাখায় রয়েছে ৩,৩৮, ১৭৩ টাকা। এই ব্যাঙ্কেই এফডিআর এবং এমওডিতে রয়েছে ১,৬০, ২৮, ৯৩৯ টাকা।
মোদীর এনএসসি সার্টিফিকেট রয়েছে ৮,৪৩, ১২৪ টাকার। বিমা রয়েছে ১,৫০, ৯৫৭ টাকা। ট্যাক্সসেভিংস ইনফ্রা বন্ড রয়েছে ২০ হাজার টাকার। অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ১.৭৫ কোটি টাকার কিছু বেশি।
প্রধানমন্ত্রীর নামে কোনও ঋণ নেই। তাঁর নামে কোনও গাড়িও নেই। তাঁর কাছে রয়েছে চারটি আংটি, ওজনে ৪৫ গ্রাম। যার মূল্য ১.৫ লক্ষ টাকার মতো।
গান্ধীনগরের সেক্টর ওয়ানে যুগ্মভাবে একটি জমি রয়েছে। যার পরিমাণ ৩,৫৩১ স্কোয়ার ফুট। অন্য তিনজনের সঙ্গে জমি রয়েছে। প্রত্যেকের অংশীদারিত্ব ২৫ শতাংশ করে। যা কেনা হয়েছিল ২০০২ সালের ২৫ নভেম্বর। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার দুমাস আগে। সেই সময় দাম ছিল ১.৩ লক্ষ টাকা। বর্তমানে সেই জমির দাম ১.১০ কোটি টাকা।
সম্পত্তি কমেছে অমিত শাহের
গত একবছরে অমিত শাহের সম্পত্তির পরিমাণ কমেছে। শেয়ার বাজারের পরিস্থিতির কারণেই এই পরিস্থিতি বলে জানা গিয়েছে। ২০২০-র জুনে দাখিল করা হিসেবে দেখা যাচ্ছে অমিত শাহের সম্পত্তির পরিমাণ ২৮.৬৩ কোটি টাকা। একবছর আগে সেই পরিমাণ ছিল ৩২.৩ কোটি টাকা।
গুজরাতে ১০ টি স্থাবর সম্পত্তি রয়েছে অমিত শাহের। অমিত শাহের হাতে রয়েছে ১৫,৮১৪ টাকা। ব্যাঙ্কে রয়েছে ১.০৪ কোটি টাকা। ইনসিওরেন্স এবং পেনশন পলিসিতে রয়েছে ১৩.৪৭ লক্ষ টাকা। এফডি-তে রয়েছে ২.৭৯ লক্ষ টাকা। অলংকার রয়েছে ৪৪.৪৭ লক্ষ টাকার। সম্পত্তি কমেছে তাঁর স্ত্রীরও।
অন্য মন্ত্রীদের সম্পত্তি
একবছরে সম্পত্তি বিশেষ হেরফের হয়নি প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং-এর। তাঁর অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ১.৯৭ কোটি টাকার এবং স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ২.৯৭ কোটি টাকার। ঘোষণা অনুযায়ী, শেয়ার বাজার, ইনসিওরেন্স কিংবা পেনশনে তাঁর কোনও বিনিয়োগ নেই।
অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের বাড়ির মূল্য ৯৯.৩৬ লক্ষ টাকা। এছাড়াও অকৃষি জমি রয়েছে ১৬.০২ লক্ষ টাকার। তাঁর চারচাকার কোনও গাড়ি নেই। তবে ১৯ বছরে গৃহ ঋণ রয়েছে।