NEET-JEE বিতর্কের মাঝেই জনপ্রিয়তায় ভাঁটা! মোদীর 'মন কি বাত'-এ ডিসলাইকের বন্যা
দেশজুড়ে নিট-জয়েন্ট পরীক্ষা নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। এই আবহে রবিবার ৬৮তম 'মন কি বাত'-এ কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে তাঁর ভাষণে একবিন্দু জায়গাও করে নিতে পারল না নিট-জয়েন্ট পরীক্ষার বৃত্তান্ত। করেনা আবহে পরীক্ষা পিছোনোর দাবিতে যখন পরীক্ষার্থীদের একাংশ এবং বিরোধীরা সরব, তখন এই বিষয়ে কোনও বাক্য ব্যয় করলেন না প্রধানমন্ত্রী। আর তাতেই কি এক ধাক্কায় জনপ্রিয়তায় ভাঁটা লক্ষ্য করা গেল?
'মন কি বাত' নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে অনেক সাধারণ মানুষ
শুধু বিরোধীরা নয়, রবিবারে প্রধানমন্ত্রীর 'মন কি বাত' নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে অনেক সাধারণ মানুষও। আর এর ফল স্বরূপ ইউটিউবে প্রধানমন্ত্রীর পুরনো বেশ কিছু 'মন কি বাত'-এর ভিডিওতে লাইকের থেকে ডিসলাইকের সংখ্যা বেড়ে গেল একদিনেই। তারপর সোমবার সকাল পর্যন্ত মোদীর নয়া 'মন কি বাত'-এ দেখা গেল ডিসলাইকের বন্যা।
মোদীর ভিডিওতে ডিসলাইকের বন্যা
নয়া 'মন কি বাত' বিজেপির ইউটিউবে পাবলিশ হওয়ার প্রায় ২১ ঘণ্টা বাদে পরিসংখ্যান বলছে, ভিডিওটি লাইক করেছেন ২৮ হাজার দর্শক। তবে ডিসলাইক বোতামে টিপে নিজেদের অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ২ লক্ষ ৫৬ হাজার জন! সব মিলিয়ে ভিডিওটি দেখেছেন ১০ লক্ষেরও বেশি মানুষ। শুধু তাই নয়, কমেন্ট সেকশনেও নিজেদের ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন সাধারণ মানুষ।
মোদীকে আক্রমণ রাহুলের
মোদীর অনুষ্ঠানের পর প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ শানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। মন কি বাত-এ প্রধানমন্ত্রীকে রবিবার বলতে শোনা যায় দেশীয় খেলনা শিল্পের উপরে জোর দেওয়ার বিষয়ে। এরই প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর 'মন কি বাত' অনুষ্ঠান শেষে টুইটারে রাহুল লেখেন, 'জয়েন্ট ও নিট পরীক্ষার্থীরা চেয়েছিলেন পরীক্ষা পে চর্চা হোক, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী করলেন খিলোনে পে চর্চা।'
কমেন্ট সেকশনেও ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন সবাই
টুইটের শেষে তিনি একটি হ্যাশট্যাগও ব্যবহার করেন রাহুল, 'মন কি নেহি স্টুডেন্টস কি বাত।' করোনা পরিস্থিতিতে কীভাবে পরীক্ষাকেন্দ্রে যাবে তা নিয়ে চিন্তায় পরীক্ষার্থীরা। দেশের একাধিক রাজ্যে গণপরিবহন ব্যবস্থা এখনও পর্যাপ্ত নয়। পরীক্ষাকেন্দ্রে কীভাবে পৌঁছাবে, তা নিয়েও চিন্তার শেষ নেই পরীক্ষার্থীদের। কিন্তু সেই বিষয়ে বিশেষ কিছুই বলতে দেখা গেল না প্রধানমন্ত্রীকে। আর তাতেই ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন সবাই।
মোদীর ভাষণে হতাশ অনেকেই
অনেকেই ভেবেছিলেন, আজকের 'মন কি বাত'-এ নিট-জয়েন্ট পরীক্ষার্থীদের মুশকিল আসান কীভাবে হবে, তা নিয়ে কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু তা হয়নি। একদিকে সুপ্রিম কোর্টের রায়, যেখানে বলা হয়েছে নির্দিষ্ট সূচি মেনেই পরীক্ষা হবে। পিছানো যাবে না নির্ঘণ্ট। অন্যদিকে কোরোনা পরিস্থিতিতে কীভাবে পরীক্ষাকেন্দ্রে যাবে তা নিয়ে চিন্তায় পরীক্ষার্থীরা। দেশের একাধিক রাজ্যে গণপরিবহন ব্যবস্থা এখনও পর্যাপ্ত নয়। পরীক্ষাকেন্দ্রে কীভাবে পৌঁছাবে, তা নিয়ে চিন্তার শেষ নেই পরীক্ষার্থীদের।