ফ্লাইওভারে ২০ মিনিটে আটকে প্রধানমন্ত্রী! 'নিরাপত্তা' নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট চাইল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক
ফ্লাইওভারে ২০ মিনিটে আটকে প্রধানমন্ত্রী! 'নিরাপত্তা' নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট চাইল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক
প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠল। হাইওয়েতে ১৫ থেকে ২০ মিনিট দাঁড়িয়ে রইল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কনভয়। সূত্রের খবর, বুধবার ভাতিন্ডায় নামেন তিনি। হেলিকপ্টারে একটি শৌধ পরিদর্শন করতে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু বৃষ্টি ও কুয়াশার কারণে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, রাস্তা দিয়েই যাবেন তিনি। এমনটাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই মতো রওনা হন। আর সেই রাস্তায় যাওয়ার পথেই আটকায় কনভয়। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। খোদ প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় ব্যাপক গাফিলতি ছিল বলেও অভিযোগ।
ইতিমধ্যে পঞ্জাব সরকারের কাছ থেকে এই বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। মন্ত্রক জানাচ্ছে, পঞ্জাব সরকার অতিরিক্ত নিরাপত্তা দিতে সম্পূর্ণ ভাবে ব্যর্থ হয়েছে। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা অফিসাররা প্ল্যান বি অনুযায়ী সরকারকে বিস্তারিত জানালেও অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা পঞ্জাব সরকারের তরফে দেওয়া হয়নি বলেই অভিযোগ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। ইতিমধ্যে ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে।
মন্ত্রকের তরফে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে, প্ল্যান বি অনুযায়ী পঞ্জাব সরকারকে প্রধানমন্ত্রীর সফরের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়েছিল। আকাশ পথে না গিয়ে সড়ক পথেও গন্তব্যে পৌঁছতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। সেই মতো সবরকম ব্যবস্থা করার কথা বলা হয়েছিল। আর সেই সংক্রান্ত সবুজ সঙ্কেত পাওয়ার পরেই গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করেন প্রধানমন্ত্রী। আর তাতেই ঘটে যায় বিপত্তি। বিক্ষোভে ফ্লাইওভারের উপরেই আটকে পড়েন খোদ প্রধানমন্ত্রী। প্রায় ২০ মিনিট আটকে ছিলেন তিনি। সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ঘটনাস্থল থেকেই দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
এই ঘটনা ঘিরে শুরু হয়েছে ব্যাপক রাজনৈতিক তর্ক। ইচ্ছাকৃত ভাবেই প্রধানমন্ত্রীর কনভয় আটকানো হয়েছে বলে অভিযোগ। আন্দোলনকারীরা কীভাবে জানল প্রধানমন্ত্রী সড়ক পথে আসছেন। কারনে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় মাত্র কয়েক মিনিটের আলোচনাতে। ফলে সেই খবর কীভাবে পৌঁছে গেল তা নিয়েও প্রশ্ন বিজেপির একাংশের। যদিও পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর দাবি এর পিছনে কোনও নিরাপত্তা গাফিলতি ছিল না। শেষ মুহূর্তে সুদ্ধান্ত পরিবর্তন হয়। পুরো বিষয়টি নিজে খতিয়ে দেখেছেন বলে পঞ্জাবের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, কয়েক মাস পরেই ভোট রয়েছে পঞ্জাবে। আর তা ঘিরে চড়ছে উত্তেজনার পারদ। আর সেখানে দাঁড়িয়ে এই ঘটনা নয়া মাত্রা পেয়েছে বলেই মত রাজনৈতিকমহলের।