#NoteBan ইস্যু কপাল খুলে দিয়েছে এই ধরনের সরকারি সংস্থাগুলির
নয়াদিল্লি, ২৩ নভেম্বর : সপ্তাহ দুই আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ৫০০ ও ১ হাজারের নোট বাতিল করে দিয়েছেন। আর তারপর থেকে বহু মানুষ টাকার অভাবে সমস্যায় পড়েছেন। কেউ বিয়ে দিতে গিয়ে সমস্যায় পড়েছেন তো কেউ হাসপাতালের বিল মেটাতে পারেননি। এছাড়া বহু কোম্পানি বা ব্যবসাদার রয়েছেন যাদের ব্যবসা প্রায় লাটে উঠেছে।
ঘুষের ৫০ লক্ষ টাকা বাড়িতে, ঘুষ নেন কেন? লখনৌ ইঞ্জিনিয়ারের যুক্তি শুনলে ঘাবড়ে যাবেন
#NoteBan নিয়ে জনতার মত চাইলেন প্রধানমন্ত্রী জানাতে পারবেন এই অ্যাপের মাধ্যমে
তবে মুদ্রার উল্টো পিঠও রয়েছে। এমন অনেক সংস্থা রয়েছে যারা নোট বাতিলের সুবিধা ভোগ করছেন সরাসরি। এর মধ্যে সবচেয়ে উপরে রয়েছে সরকারি বিদ্যুৎ সংস্থাগুলি।
ইলেক্ট্রিসিটি বোর্ডের বহু গ্রাহক এতদিন বিল না মিটিয়েই বিদ্যুৎ পরিষেবা নিয়ে যাচ্ছিলেন। এরপরে সরকার যেই জানিয়েছে, আগামী ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত বিদ্যুতের বিল পুরনো ৫০০ অথবা ১ হাজারের বাতিল নোটে দেওয়া যাবে, তৎক্ষণাৎ বিদ্যুৎ বোর্ডের অফিসের বাইরে ভিড় বেড়েছে।
১০ দিনে ব্যাঙ্কে কত লক্ষ কোটি টাকা লেনদেন? জানলে চোখ কপালে উঠবে
অন্যের কালো টাকা নিজের অ্যাকাউন্টে রাখলে হতে পারে ৭ বছরের জেল : আয়কর বিভাগ
গত ৯ নভেম্বর থেকে যত দিন গিয়েছে ততই লাইন দীর্ঘ হয়েছে ইলেক্ট্রিসিটি বোর্ডের অফিসের বাইরে। অনেক গ্রাহক রয়েছেন যাদের হাজার হাজার, লক্ষ লক্ষ টাকার বিদ্যুৎ বিল বাকী। এখন তারাই লাইনে দাঁড়িয়ে বকেয়া বিল জমা করছেন।
হরিয়ানার পাওয়ার সেক্টরে যেমন নোট বাতিলের পরে প্রথম দশ দিনে ৭৫ কোটি টাকা জমা পড়েছে। বিদ্যুৎ দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি নিজে একথা জানিয়েছেন। এদিকে প্রতিবেশী পাঞ্জাবেও একই অবস্থা চলছে। সেখানে অতিরিক্ত ২০ কোটি টাকা সরকারের খাতায় জমা পড়েছে।
বেশিরভাগ রাজ্যেরই বিদ্যুৎ বোর্ডের বক্তব্য, নিয়ম মেনে টাকা জমা দেয় না এমন গ্রাহক খুবই কম রয়েছে। তবে তা সত্ত্বেও নোট বাতিলের ফলে আটকে থাকা বিলের টাকাও জমা পড়ে যাচ্ছে। এর ফলে অর্থাভাবে ধুঁকতে থাকা বিদ্যুৎ বোর্ডগুলির প্রভূত সুবিধা হবে বলেই মনে করছেন সকলে।