মোদীর ব্ল্যাকআউটে বিপর্যয় ঘটবে, আশঙ্কা মহারাষ্ট্রের বিদ্যুৎ মন্ত্রীর
জনতা কার্ফুর পর ফের একবার দেশবাসীর কাছে সময় চাইলেন প্রধানমন্ত্রী। আগামী রবিবার, অর্থাৎ ৫ এপ্রিল জেশবাসীর কাছে করোনা লড়াইয়ে ৯ মিনিট সময় চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এদিকে আগের বারের মতো বিকালের বদলে এবার তিনি সময় চাইলেন রাতের বেলা।
প্রধানমন্ত্রীর আবেদন
শুক্রবার এক টুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীর উদ্দেশে বলেন, '৫ এপ্রিল রবিবার রাত ৯ টায় সকলের ৯ মিনিট চাইছি। ৫ এপ্রিল রাত ৯টায় ঘরের সমস্ত লাইট জ্বালিয়ে ঘরের বাইরে , বারান্দায় দাঁড়িয়ে ঘরের লাইট বন্ধ রাখুন। মোমবাতি, বা মোবাইলের লাইট জ্বালান। এই আলোর উজ্জ্বলতায় করোনার অন্ধকার দূর হবে। এই আলোর আয়োজনের সময় , রাস্তায় বা পাড়ায় যেন কেউ না বের হন। নিজের ঘরের ব্যালকনি থেকেই এই আলো জ্বালানোর উদ্যোগ নিতে হবে।'
প্রধানমন্ত্রীর এই আবেদনে বিপর্যয় ঘটবে
তবে প্রধানমন্ত্রীর এই আবেদনে বিপর্যয় ঘটবে। এমনই আশঙ্কা করছেন মহারাষ্ট্রের বিদ্যুৎ মন্ত্রী নীতিন রাউত। রধানমন্ত্রীর এই আবেদন মানলে গোটা দেশ বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মহারাষ্ট্রের বিদ্যুৎমন্ত্রী৷ তাঁর দাবি, একবার যদি পাওয়ার গ্রিড বসে যায় তাহলে পরিষেবা স্বাভাবিক হতে ১২ থেকে ১৫ ঘণ্টা লাগতে পারে৷ সেক্ষেত্রে হাসপাতালের মতো জরুরি পরিষেবার ক্ষেত্রগুলি সম্পূর্ণ বিদ্যুৎ বিহীন হয়ে পড়তে পারে।
ব্ল্যাকআউটের ঘোষণার পরেই উচ্চপর্যায়ের বৈঠক বসে
প্রধানমন্ত্রীর ব্ল্যাকআউটের এই ঘোষণার পরেই উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করে বিদ্যুত মন্ত্রক। বিদ্যুতমন্ত্রী আরকে সিং ও পাওয়ার গ্রিড কর্পোরেশনের উচ্চপদস্থ কর্তারা এই বৈঠকে যোগ দেন। এই বৈঠকেই মন্ত্রী ও কর্তারা আলোচনা করেন যে প্রধানমন্ত্রীর এই আবেদনের জেরে কী প্রভাব পড়বে দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে।
প্রধানমন্ত্রীর আবেদনের স্পষ্টীকরণ
এরপরই প্রধানমন্ত্রী দফতরের তরফে জানানো হয় যে আগামিকাল, অর্থাৎ রবিবার প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ মতো মোমবাতি জ্বালাতে গিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ একেবারে বন্ধ করে দেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই বলে জানাল সরকার। ৯ মিনিটের জন্য মোমবাতি, প্রদীপের আলো জ্বালানোর সময় কম্পিউটার, ফ্যান, এসি বন্ধ করার দরকার নেই বলে স্পষ্ট করল সরকার।