দেশভাগের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ! গুরু নানকের জন্মদিবসে CAA নিয়ে বড় বার্তা প্রধানমন্ত্রী মোদীর
দেশে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের ওপরে জোর দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গুরুনানক দেবের ৫৫৩ তম জন্মদিবসে জাতীয় রাজধানীর এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কেন্দ্র এই আইন প্রণয়ন করেছে দেশভাগের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দু
দেশে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রয়োগের ওপরে জোর দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গুরুনানক দেবের ৫৫৩ তম জন্মদিবসে জাতীয় রাজধানীর এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কেন্দ্র এই আইন প্রণয়ন করেছে দেশভাগের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দু ও শিখ পরিবারগুলিকে সাহায্য করতে। এর আগে অবশ্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্টমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি নাড্ডা ভোটের প্রচারে সিএএ নিয়ে মন্তব্য় করেছেন।
|
সিএএ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী
প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন, দেশভাগের সময় পঞ্জাব ও দেশের জনগণের আত্মত্যাগের স্মরণে দেশ ভাগ স্মরণ দিবস পালন শুরু করেছে। সরকার সিএএ-র মাধ্যমে দেশভাগের ফলে প্রভাবিত হিন্দু ও শিখ পরিবারগুলিকে নাগরিকত্ব দেওয়ার উপায়ও তৈরির চেষ্টা করেছে। গুজরাতের প্রতিবেশী দেশে নির্যাতিত শিখ পরিবারগুলিকে নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়টি তাঁদের আত্মবিশ্বাস দিয়েছে, যে ভারত বিশ্বের যে কোনও জায়গায় বসবাসকারী শিখদের আবাসস্থল।
সিএএ নিয়ে অমিত শাহ ও জেপি নাড্ডা
প্রধানমন্ত্রী মোদী, ২০২০-র দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে সিএএ নিয়ে মন্তব্য করা থেকে বিরত ছিলেন। তিনি বিষয়টি নিয়ে এই প্রথম মন্তব্য করলেন। তবে গত কয়েকদিনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা বিজেপি কর্মীদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, যে আইনটি শীঘ্রই কার্যকর করা হবে।
গুজরাতে ভোট ঘোষণার আগে নাগরিকত্ব দেওয়ার ঘোষণা
সাম্প্রতিক সময়ে গুজরাতে বিধানসভা ভোট ঘোষণার আগে মেহসানা ও আনন্দ জেলায় বসবাসকারী আফগানিস্তান, পাকিস্তান, বাংলাদেশ থেকে আগত হিন্দু, শিখ, জৈন, খ্রিস্টান বৌদ্ধদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা ঘোষণা করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। কেন্দ্রের তরফে এব্যাপারে জেলাশাসকদের দায়িত্ব অর্পণ করেছে। তবে সিএএ আইন তৈরি হলেও এ বিধি তৈরি হয়নি। সেই কারণে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইন অনুসারে এব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
সিএএ এখন কোন জায়গায়
বিতর্কের
পরে
২০১৯-এর
ডিসেম্বরে
লোকসভা
ও
রাজ্যসভায়
পাশ
করানো
হয়েছিল
নাগরিকত্ব
সংশোধনী
আইন।
তবে
পরবর্তী
সময়
ছয়
মাসের
মধ্যে
এই
আইন
প্রয়োগ
করা
যায়নি।
সিএএ-র
বিধি
তৈরি
করতে
লোকসভা
ও
রাজ্যসভার
কমিটি
থেকে
এব্যাপারে
সপ্তমবার
সময়
বাড়ানো
হয়েছে।
সিএএ-তে
আফগানিস্তান,
পাকিস্তান
ও
বাংলাদেশ
থেকে
আসা
সেখানকার
সংখ্যালঘু
হিন্দু,
বৌদ্ধ,
শিখ,
জৈন,
পার্সি,
খ্রিস্টানদের
নাগরিকত্ব
প্রদান
করবে।
২০১৪-র
৩১
ডিসেম্বরের
কিংবা
তার
আগে
ভারতে
আসা
কোনও
ব্যক্তি
এব্যাপারে
আবেদন
করতে
পারবেন।
সেইসব
লোকজনকে
অবৈধ
অনুপ্রবেশকারী
বলে
বিবেচনা
করা
হবে
না।
এঁদের
ক্ষেত্রে
নাগরিকত্ব
প্রদানের
জন্য
বাধ্যতামূলক
বসবাসের
সময়কাল
কমিয়ে
৫
বছর
করার
কথাও
বলা
বয়েছে।
তাপমাত্রা নামবে ১৫ ডিগ্রির নিচে! একনজরে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির আবহাওয়া