'সার্জিক্যাল স্ট্রাইক' এর ব্লু-প্রিন্ট নিয়ে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী মোদী
সার্জিক্যাল স্ট্রাইক প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
কাশ্মীরের উরির সেনা ছাউনিতে হামলার ঘটনার পর পাকিস্তানে সীমান্ত পেরিয়ে গিয়ে হামলা চালিয়ে আসে ভারতীয় সেনা। সীমান্তের ওপারের জঙ্গি লঞ্চ প্যাডে হামলা চালানোয় বহু জঙ্গি নিকেশ হয়। ভারতের এই সীমান্তপার সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে হইহই পড়ে গিয়েছিল। সেই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ঠিক কী বলেছেন তিনি, জেনে নেওয়া যাক।
উরির পরে হইচই
উরির ঘটনার পর সারা দেশে হইচই পড়ে যায়। আমি সেই ঘটনায় বিমর্ষ হয়ে পড়ি। রাগ হয়েছিল ভীষণ। সেইসময়ে আমি কেরলে ছিলাম। খবর পাই। এক সভায় তা নিয়ে বক্তব্যও রাখি। তবে রাষ্ট্রনেতা হিসাবে আমার ব্যক্তিগত রাগ-হতাশা যাতে কাজে প্রভাব না ফেলে সেটাও দেখতে হতো।
সেনার সঙ্গে বৈঠক
এই ঘটনার পর মোদী বলেছেন, আমি সেনার সঙ্গে বৈঠক করি। তখন বুঝতে পারি, আমার থেকেও তাঁরা বেশি রেগে রয়েছে। এর একটা বিহিত করতে চাইছে। সেনার সঙ্গে আলোচনার পর তাদের পরিকল্পনা সাজিয়ে নিয়ে আসতে বলি।
সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের দিন বদল
এরপর দুবার সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের দিন বদল হয়। সেনার যাঁরা দায়িত্বে ছিলেন, তাদের ওপরে পুরো স্বাধীনতা দেওয়া ছিল। আমি নিজে সকলের সঙ্গে বসে পরিকল্পনায় যুক্ত ছিলাম। শুধু আমার এটাই বলার ছিল, স্ট্রাইকের দিন ফলাফল যাই হোক না কেন, কোনও ভারতীয় সেনার যাতে ক্ষতি না হয়, ও সূর্যোদয়ের আগে যেন সকলে ভারতে ফিরে আসতে পারেন।
বিশেষ ট্রেনিং সেনাকে
পরিকল্পনা করার পরই সেনাদের বেছে নিয়ে বিশেষ ট্রেনিং দেওয়া হয়। সেনার কিছু সামগ্রী প্রয়োজন ছিল। সেগুলি সরকারের তরফে হাতে তুলে দেওয়া হয়। এরপরে সুযোগ বুঝে করা হয় সার্জিক্যাল স্ট্রাইক।
|
মোদীর চিন্তা
মোদী বলেছেন, সেদিন রাতের সময় বেশ কঠিন ছিল। নিরন্তর আমার কাছে ফিডব্যাক আসছিল। তবে ভোরের আগে ঘণ্টাখানেক কোনও খবর ছিল না। পরে খবর আসে যে সেনাদের প্রত্যেকেই সুরক্ষিতভাবে পৌঁছে গিয়েছে এপারে।
দেশ জানত বীরত্বের কথা
এরপরে পাকিস্তানে খবর দেওয়া হয় যে সেদেশে এভাবে হামলা চালানো হয়েছে। দুপুর ১২টা নাগাদ সংবাদমাধ্যমে সেনার তরফে বৈঠক করে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের ঘটনা জানানো হয়। তখন গিয়ে গোটা বিশ্ব এই সম্পর্কে জানতে পারে।