ভারত এগোবে আত্মনির্ভর পথেই, বিশ্বের দরবারে ঘোষণা প্রধানমন্ত্রী মোদীর
করোনা আবহে শুরু হল ইন্ডিয়া গ্লোবাল উইক ২০২০। এদিন গ্লোবাল উইকের সূচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ৩০টি দেশের পাঁচ হাজার প্রতিনিধি অংশ নিচ্ছেন এই অনুষ্ঠানে। আর এই সুযোগে বিশ্ব দরবারে আত্মনির্ভর ভারতের ব্লুপ্রিন্ট পেশ করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সর্বজনীন নেতা ও শিল্প ক্ষেত্রের প্রথম সারির মানুষজনকে এক জায়গায় নিয়ে আসা হবে।
ভারতকে অনুসরণ করছে বহু দেশ
প্রধানমন্ত্রী এদিন বিশ্বের উদ্দেশে বলেন, 'গত কয়েকবছরে দরিদ্রদের জন্য একাধিক প্রকল্প তৈরি করাই নয়, তা তাঁদের কাছে পৌঁছে দিয়েছে সরকার। বিনামূল্যে গ্যাস, ব্যাঙ্কে টাকা পৌঁছে দেওয়া ইত্যাদি নানা পরিষেবা দেওয়া হয়েছে। ভারত মুক্ত অর্থনীতির দেশ। ভারত গত কয়েকবছরে যা করেছে, তা অন্য অনেক দেশ অনুসরণ করছে।'
আত্মনির্ভর ভারতের ডাক
এরপর আত্মনির্ভর ভারতের ডাক দিয়ে প্রধানমন্তরী বলেন, '১৩০ কোটি মানুষ আত্মনির্ভর ভারতের ডাক দিয়েছে। এর অর্থাৎ আমরা গ্লোবাল সাপ্লাই চেইনের সঙ্গে মিলে স্থানীয় ভাবে উৎপাদন বাড়াবো। ভারত আত্মনির্ভর ভারতের পথে এগিয়ে চলেছে। এর অর্থ বহির্বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন নয়, স্বনির্ভর হওয়া।'
ভারত নিজেদের পরিকাঠামো উন্নয়ন করেছে
প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ভারত নিজেদের পরিকাঠামো উন্নয়ন করেছে। ফলে বিদেশি বিনিয়োগের পথ প্রশস্ত হয়েছে। ভারতের ফার্মা শিল্প গোটা বিশ্বের জন্য অমূল্য রত্ন। আমরা আমাদের দরজা খুলে দিয়েছি বিনিয়োগকারীদের জন্য। আসুন আমাদের কৃষকদের সঙ্গে অগ্রগতির এই পথে একসঙ্গে চলুন। খুব কম দেশই এরম সুযোগ দেবে যা ভারত আজকে দিতে সক্ষম।
করোনা ভ্যাকসিন তৈরিতে বড় ভূমিকা নেবে ভারত
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, 'চেষ্টা করা হচ্ছে যাতে প্রকৃতিকে ঠিক রেখে, পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রেখে অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে ভারত এগিয়ে চলেছে। খুব কম দেশই এরম সুযোগ দেবে যা ভারত আজকে দিতে সক্ষম। ভারতের ফার্মা শিল্প গোটা বিশ্বের জন্য অমূল্য রত্ন। ভারত নিজেদের পরিকাঠামো উন্নয়ন করেছে। ফলে বিদেশি বিনিয়োগের পথ প্রশস্ত হয়েছে। আমার বিশ্বাস ভারত করোনা ভ্যাকসিন তৈরিতেও বড় ভূমিকা নেবে। এবং খুব শীঘ্রই বিশ্বের কাছে আমরা এই ভ্যাকসিন তৈরি করে দিতে পারব।'
ঘুরে দাঁডা়নোর প্রক্রিয়ায় ভারত অগ্রণী ভূমিকা নেবে ভারত
প্রধানমন্ত্রী বিশ্বের কাছে ভারতকে পথ প্রদর্শক হিসাবে তুলে ধরে বলেন, 'ভারতীয়রা ঐতিহাসিক ভাবে রিফর্মের জন্য কাজ করেছে। অর্থনৈতিক হোক বা সামাজিক হোক, ভারত পথ দেখিয়েছে। এখনও এই পথেই এগাতে হবে। ভারত ট্যালেন্টের পাওয়ারহাউজ। আমরা সব সময় করতে ও শিখতে মুখিয়ে থাকি। বর্তমান সময়ে আমাদের ফের ঘুরে দাঁড়ানো নিয়ে ভাবতে হবে। এবং এই ঘুরে দাঁডা়নোর প্রক্রিয়ায় ভারত অগ্রণী ভূমিকা নেবে।'
পাকিস্তান-চিনের চোখ রাঙানি থোড়াই কেয়ার! কাশ্মীরে সেনার তৈরি ৬টি ব্রিজ উদ্বোধন রাজনাথের