মায়ের শেষ যাত্রায় কাঁধ দিলেন প্রধানমন্ত্রী, জেনে নিন কে ছিলেন হীরাবেন মোদী
মায়ের শেষ যাত্রায় কাঁধ দিলেন প্রধানমন্ত্রী, জেনে নিন কে ছিলেন হীরাবেন মোদী
১০০ বছরেই ইহলোক ত্যাগ করলেন তিনি। তাঁকে রত্নগর্ভাই বলা যায়। গুজরাতের গান্ধীনগরের কাছে একটি ছোট্ট গ্রামে থাকতেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মা হীরাবেন মোদী। শুক্রবার ভোর তিনটে নাগাদ মারা যান তিনি। সঙ্গে সঙ্গে মায়ের কাছে ছুটে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। মায়ের শেষ যাত্রায় কাঁধ দিয়েছেন তিনি। গান্ধী নগরেই হবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মা হীরাবেন মোদীর শেষকৃত্য।
ভোর রাতে প্রয়াত হীরাবেন মোদী
হীরাবেন মোদী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মা। শুক্রবার ভোর রাতে মারা যান তিনি। বুধবার থেকে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন হীরাবেন মোদী। বুধবার মাকে দেখতে ছুটে গিয়েছিলেন আহমেদাবাদে। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে তাঁর। তারপরেই মারা যান হীরাবেন মোদী। ভোর রাতে খবর পেয়েই মায়ের শেষকত্যে অংশ নিতে ছুটে যান তিনি। তবে বাতিল করেননি তাঁর শুক্রবারের কর্মসূচিও। নিজে উপস্থিত থাকতে না পারলেও ভার্চুয়ালি উপস্থিত থেকে সব কর্মসূচি পালন করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
মায়ের শেষ যাত্রায় মোদী
মায়ের মৃত্যু সংবাদ পাওয়ার পরেই তিনি ছুটে গিয়েছেন আহমেদাবাদে। সেখানে হাসপাতালে মারা গিয়েছেন হীরাবেন মোদী। বয়স হয়েছিল ১০০ বছর। মায়ের শেষ যাত্রায় অংশ নিয়েছেন তিনি। গান্ধীনগরে হবে হীরাবেন মোদীর শেষকৃত্য। মায়ের শবযাত্রায় অংশ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। হীরাবেন মোদীর শবদেহ শশ্মানঘাটে নিয়ে যাওয়ার সময় কাঁধ দিতে দেখা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে। পরিবারের সকলের সঙ্গে মায়ের শেষকৃত্যে অংশ নিয়েছেন তিনি।
হীরাবেন মোদী
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মা হীরাবেন মোদী। ১৯২৩ সালে ২৩ জুন জন্মেছিলেন তিনি। গুজরাতের মেহসানা জেলার বিসানগরের এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মেছিলেন হীরাবেন মোদী। দীপদা দরওয়াজায় ছিল তাঁর আদিবাড়ি। সেই বাড়িটি বিক্রি করে গান্ধীনগরে নতুন বাড়ি করেছিলেন। তবে গত কয়েক বছর ধরে গান্ধীনগরে ছোট ছেলে পঙ্কজ মোদীর কাছেই থাকতেন তিনি। সেখানেই প্রধানমন্ত্রী মোদী গিয়ে তাঁ মায়ের সঙ্গে দেখা করে আসতেন। কখনও কখনও মধ্যাহ্ন ভোজনও করতেন। গুজরাতের বিধানসভা নির্বাচনে বুথে গিয়ে ভোট দিয়ে এসেছিলেন হীরাবেন মোদী। শেষের দিকে আর হাঁটতে পারতেন না তেমন ভাবে। হুইল চেয়ারে করেই ঘুরতেন।
শতবর্ষের জন্মদিন পালন
১০০ বছরে পা রেখেছিলেন হীরাবেন মোদী। খুব সাধারণ জীবন যাপন করতেন তিনি। সাদামাটা খাবারই ছিল তাঁর প্রিয়। ১০০ বছরের জন্মদিনে মায়ের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সেসময় মায়ের প্রিয় লপসি নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। রুটি, সবজি, ডাল, ভাত, স্যালাড খেতেই বেশি ভালবাসতেন হীরাবেন। অনেক কষ্ট করে সন্তানদের বড় করেছিলেন তিনি। নিজে স্কুলে যেতে না পারলেও সন্তানরা যাতে পড়াশোনা করতে পারেন তার জন্য, বাড়ি বাড়ি দুধ বিক্রি করতেন তিনি। এমনকী চায়ের দোকানগুলিতেও দুধ বিক্রি করতেন হীরাবেন। দুঃস্থ শিশুদের নিজের উদ্যোগে পড়াশোনা শেখাতেন তিনি।