বিজেপির আক্রমণে বিপদের মুখে অসংগঠিত অর্থনীতি! মোদী সরকারকে ফের তোপ রাহুল গান্ধীর
করোনা ভাইরাসের কারণে এই বছর জিএসটি সংগ্রহ মারাত্মকভাবে প্রভাবিত হয়েছে। তাছাড়া আরও বেশ কয়েকটি কারণে ধুকছে দেশের অর্থনীতি। এই আবহে ফের কেন্দ্রকে আক্রমণ কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর। প্রথম থেকেই বলে এসেছেন, নোট বন্দি, জিএসটি, এই সিদ্ধান্তগুলি দেশের অর্থ ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। এদিনও সেই রেশ টেনেই আক্রমণ জারি রাখেন রাহুল।

কী কারণে দেশের অর্থনীতিতে ধস?
এদিন নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে ভিডিও পোস্ট করে রাহুল বলেছেন, ২০০৮ সালে বিশ্বের অর্থনীতিতে ব্যাপক সংকট আসে। কিন্তু সেই সময় ভারতের অর্থনীতিতে কোন প্রভাব পড়েনি। ভারতের অর্থনীতি দুই ধরনের, সংগঠিত এবং অসংগঠিত। সংগঠিত বলতে বড় বড় কোম্পানি এবং ব্যবসা, অসংগঠিত বলতে ছোট ব্যবসা, চাষাবাদ, শ্রমিক। এই অসংগঠিত অর্থব্যবস্থায় যদি আঘাত না আসে তাহলে ভারতের অর্থনীতিতে সংকট আসবে না।

অসংগঠিত অর্থব্যবস্থার উপরই কেন্দ্রীয় সরকার আঘাত আনছে
তবে রাহুলের কথায়, অসংগঠিত অর্থব্যবস্থার উপরই কেন্দ্রীয় সরকার আঘাত আনছে। মূলত তিনটি সিদ্ধান্ত অর্থব্যবস্থাকে বিপদে ফেলেছে। যার ফলে দেশের অর্থনীতিতে সংকট এসেছে। পুরো ভিডিও এই সংকটের পুঙ্খানুপুঙ্খ ব্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি।

কেন্দ্রকে রাহুলের পরামর্শ
এর আগে রাহুল নিজের টুইট করে কেন্দ্রকে পরামর্শ দিয়ে লিখেছিলেন, 'বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকারের উচিত ধার কম নেওয়া এবং খরচ বেশি করা৷ শিল্পপতিদের উপর করের বোঝা চাপানো বন্ধ করা৷ গরিব মানুষের হাতে যাতে টাকার জোগান দেওয়া যায় সেই ব্যবস্থা করা৷ ব্যয়ের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধার করা৷' পাশাপাশি কটাক্ষ করে লেখেন, 'মিডিয়ার সাহায্যে মানুষের নজর ঘুরিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা দেশের গরিবদের সাহায্য করবে না৷'

জিএসটি নিয়ে রাহুলের তোপ
এদিকে করোনা ভাইরাসের কারণে এই বছর জিএসটি সংগ্রহ মারাত্মকভাবে প্রভাবিত হয়েছে। ভগবানের রোষণালের কারণে এই পরিস্থিতি বলে উল্লেখ করেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। ৪১তম জিএসটি কাউন্সিল বৈঠকে কেন্দ্র জানায়, তা করা সম্ভব হবে না। আর কেন্দ্রের সেই অক্ষমতার বিরোধিতাতে সরব হন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। নির্মলার উক্তিকে নস্যাৎ করে রাহুল টুইটে লিখেছিলেন, 'ভারতীয় অর্থনীতি তিনটি কারণে ধ্বংস হয়েছে, ডিমনিটাইজেশন, জিএসটি ও ব্যর্থ লকডাউনের পরিকল্পনা। এর কোনওরকম অজুহাত থাকতে পারে না।'