১০০ বছরের বেকারত্বের সমস্যা ১০০ দিন সমাধান সম্ভব নয়, ‘রোজগার মেলা’র উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর
শনিবার রোজগার মেলার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী,
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ১০ লক্ষ কর্মী নিয়োগের লক্ষ্য নিয়ে শনিবার রোজগার মেলা সূচনা করেন। যুবকদের চাকরি প্রদানের জন্য ও দেশের বেকারত্ব হ্রাসের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে কেন্দ্র সরকারের তরফে জানানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এই মেলা থেকে ৭৫,০০০ কর্মীকে নিয়োগপত্র দেওয়া হবে।
কী বললেন প্রধানমন্ত্রী
রোজগার মেলার উদ্বোধন করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, গত চার বছরে ভারতে অর্থনীতির ব্যাপত সংস্কার করা হয়েছে। যার জেরে ভারত বিশ্বের পঞ্চম অর্থনীতির দেশে পরিণত হয়েছে। কর্মীদের চেষ্টার ফলে সরকারি বিভিন্ন বিভাগে দক্ষতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এটা সত্য সারা বিশ্বের পাশাপাশি ভারতের অর্থনীতিকেও মুদ্রাস্ফীতি, বেকারত্বের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হচ্ছে। ১০০ বছরের সব থেকে বড় সঙ্কট বেকারত্ব। তা ১০০ দিনে দূর হবে না।
নিয়োগপত্র দেওয়া হবে ৭৫,০০০ জনকে
রোজগার মেলার অংশ হিসাবে, পঞ্চাশটি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সারা দেশে বিভিন্ন স্থানে প্রায় ২০,০০০ লোকের কাছে নিয়োগপত্র হস্তান্তর করবেন। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব নিয়োগপত্র হস্তান্তর করতে জয়পুরে থাকবেন, বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ভোপালে থাকবেন এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর চণ্ডীগড়ে থাকবেন বলে জানা গিয়েছে। মোট ৭৫,০০০ জনকে নিয়োগ করা হবে। তাঁরা কেন্দ্রীয় সরকা ৩৮ মন্ত্রকের বিভিন্ন বিভাগে কাজ করবেন বলে জানা গিয়েছে। প্রার্থীরা গ্রুপ-এ, গ্রুপ-বি (গেজেটেড), গ্রুপ-বি (নন-গেজেটেড) এবং গ্রুপ-সি স্তরে যোগ দেবেন বলে প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে জানানো হয়েছে। UPSC, SSC, রেলওয়ে রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের মতো নিয়োগকারী সংস্থাগুলির মাধ্যমে কর্মীদের নিয়োগ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
লোকসভা নির্বাচনে সামনে রেখে এই কৌশল!
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জুন মাসে ১০ লক্ষ চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আগামী ১.৫ বছরে এই চাকরি দেওয়া হবে বলে তিনি জানান। ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে তৃতীয় মেয়াদে আসার জন্য এনডিএ সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে বিরোধীরা মনে করছেন। বেকারত্ব বর্তমানে ভারতে জ্বলন্ত সমস্যা। বিরোধীরা বার বার বেকারত্ব নিয়ে মোদী সরকারকে আক্রমণ করছে। শহরাঞ্চলে যুবকদের বেকারত্বের হার ২০ শতাংশের ওপরে চলে গিয়েছে বলে একটি সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে। রাহুল গান্ধী তাঁর ভারত জোড়ো যাত্রায় দেশের বেকারত্বের হারের ওপর জোর দিয়েছেন।
কোভিড পরবর্তী সময়
কোভিডের
সময়
দেশের
বেকারত্বের
হার
বেড়ে
যায়।
কোভিড
পরবর্তী
সময়ে
বেসরকারি
সংস্থাগুলো
নিজেদের
সামলে
নেয়।
দ্রুত
কর্মী
নিয়োগ
পদ্ধতি
চালু
করে।
এই
পরিস্থিতি
সরকারি
খাতে
নিয়োগ
একটি
রাজনৈতিক
কৌশলগত
দিক
বলেই
মনে
করা
হচ্ছে।