পর পর দুদিন ভিন্ন 'চরিত্র'! মোদীর অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন
পর পর দুদিন। প্রধানমন্ত্রী মোদীকে দেখা গেল দুই ভিন্ন চরিত্রে।
পর পর দুদিন। প্রধানমন্ত্রী মোদীকে দেখা গেল দুই ভিন্ন চরিত্রে। মঙ্গলবার ভোর ভারতের হামলার পরেই প্রধানমন্ত্রীকে দেখা গিয়েছিল তুলনামূলক সক্রিয় অবস্থানে। সারাদিনই দেখা গিয়েছিল জনগণের মধ্যে। কিন্তু পরের দিন অর্থাৎ বুধবার দেখা গিয়েছে স্বভাব বিরুদ্ধ লোপ্রোফাইলে। সকালে একটি মাত্র সরকারি অনুষ্ঠান। তারপর সরকারি বাস ভবনেই সারাদিন কাটিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
মঙ্গলবার পাকিস্তান অধিকৃত বালাকোটে জইশ-এর ক্যাম্পে হামলার পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে দেখা গিয়েছিল প্রায় সব জায়গাতেই। রাষ্ট্রপতি ভবনের অনুষ্ঠানই হোক কিংবা রাজস্থানের চুরু, দিল্লির ইসকন মন্দির কিংবা দিল্লি মেট্রো দেখা গিয়েছে জনতার মধ্যে।
যদিও বুধবার ছিল তার ঠিক উল্টো। পাকিস্তান বিমান বাহিনীর পাল্টা হামলা কিংবা তার জবাব, ভারতের তরফ থেকে উইং কমান্ডারের নিখোঁজ হওয়া, প্রধানমন্ত্রীকে দেখা গিয়েছে স্বভাব বিরুদ্ধ লোপ্রোফাইলে।
এটা ঠিক যে প্রধানমন্ত্রীর সূচি নির্ধারিত হয় অনেক আগে থেকে। বুধবার তাঁর তালিকায় ছিল একটি মাত্র জনসংযোগ প্রক্রিয়া।
প্রধানমন্ত্রীর 'শান্ত' বুধবার
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বুধবার শুরু করেছিলেন বিজ্ঞান ভবনে ন্যাশনাল ইউথ পার্লামেন্ট ফেস্টিভ্যালে উপস্থিতি দিয়ে। বেলা সাড়ে দশটা নাগাদ তিনি সেখানে ভাষণ শুরু করেন। ৪৫ মিনিটের ভাষণ অপ্রতিরোধ্য বিষয়ে সীমাবদ্ধ ছিল। যেমন যুবকদের পরামর্শ। যেমনটি তিনি করে থাকেন রেডিও-য় মন কি বাত অনুষ্ঠানে।
তিনি
বলেন,
সামনে
নতুন
ভারতের
ছবি।
আমাদের
প্রত্যেকটা
ছবি
যেন
তিরের
মতো
সঠিক
জায়গায়
আঘাত
করে
বলেন
মোদী।
আমাদের
শব্দ
চিত্তাকর্ষক
হোক
না
হোক,
সেটা
যেন
উৎসাহ
ব্যাঞ্জক
হয়,
সেটা
দেখতে
হবে।
অনুষ্ঠানে
প্রধানমন্ত্রী
স্পোর্টস
অথরিটি
অফ
ইন্ডিয়ার
মোবাইল
অ্যাপ
খেলো
ইন্ডিয়ার
সূচনা
করেন।
যা
খেলা
এবং
ফিটনেস
সম্পর্কে
সচেতনতা
তৈরি
করবে।
|
সক্রিয় ছিল না সোশ্যাল মিডিয়া
সূত্রের খবর অনুযায়ী, বুধবার দিনের বাকি সময় টুকু ৭ লোক কল্যাণ মার্গের বাসভবনেই কাটিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মোদীর সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলও এদিন তুলনামূলক অন্য রকমের ছিল। অন্যদিনের মতো সক্রিয় ছিল না।
[আরও পড়ুন:পুঞ্চে ফের সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন পাকিস্তানের! পাল্টা জবাব ভারতের]
|
সক্রিয় ছিলেন রাজনাথ ও জেটলি
বুধবার সক্রিয় থাকতে দেখা গিয়েছে, অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংকে। বিভিন্ন বৈঠকে যেমন তাঁরা অংশ নিয়েছেন, সরকারি বক্তব্যও রাখতে দেখা গিয়েছে তাঁদের। বিএসএফ এবং সিআরপিএফ-এর কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজনাথ সিং। পরে ছত্তিশগড়ের বিলাসপুরে বিজেপির অনুষ্ঠানেও যোগ দেন তিনি।
অন্যদিকে অরুণ জেটলি পাকিস্তানে ভারতের বিমান হানার সমর্থনে বক্তব্য রাখেন। ওসামা বিন লাদেনের জন্য আমেরিকা পাকিস্তানে যা করতে পারে, সেই কাজ করতে পারে ভারতও। বলেন জেটলি।
[আরও পড়ুন: ট্যাংরায় বিধ্বংসী আগুন! অল্পের জন্য বাঁচল গ্যাসের গোডাউন]