'রাফালে' বিতর্কে ভাটা নেই মোদী প্রেমে! মার্কশিটে মোদী ও রাহুলের নম্বর কত? কী বলছে অনলাইন সমীক্ষা
রাফালে বিতর্কে দেশজুড়ে হইচই মাতিয়ে দিয়েছেন রাহুল গান্ধী। তাঁর সঙ্গে সঙ্গে বিজেপি বিরোধীরাও রাফালে চুক্তিতে দুর্নীতি হয়েছে বলে সরব হয়েছেন।
রাফালে বিতর্কে দেশজুড়ে হইচই মাতিয়ে দিয়েছেন রাহুল গান্ধী। তাঁর সঙ্গে সঙ্গে বিজেপি বিরোধীরাও রাফালে চুক্তিতে দুর্নীতি হয়েছে বলে সরব হয়েছেন। কিন্তু, জনগণের মন এই হইচই-এ কতটা ভিজছে তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে। কারণ, টাইমস-এর অনলাইন মোগা-পোলে-এ যে ট্রেন্ড বেরিয়ে এসেছে তাতে দেখা যাচ্ছে সমস্ত বিরোধীদের মাত দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। ২ লক্ষ মানুষ এই অনলাইন সমীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন বলেও দাবি করেছে টাইমস কর্তৃপক্ষ।
টাইমস-এর এই অনলাইন মেগা-পোলে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল আজই যদি সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় তাহলে কে হবেন সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা? এই প্রশ্নে মোদীকে জনপ্রিয় নেতা হিসাবে বেছে নিয়েছেন ৮৩.৮৯ শতাংশ মানুষ। রাজনৈতিক ভাবে রাহুল গান্ধী যতই নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপি-কে কোণঠাসা করার চেষ্টা করুন তাতে তাঁর খুব একটা লাভ হয়নি। জনপ্রিয় নেতার বিচারে মোদীর পরেই রয়েছেন রাহুল। কিন্তু, তাঁর প্রাপ্ত সমর্থন মাত্র ৮.৩৩ শতাংশ।
কেন্দ্রে এবার বাঙালি প্রধানমন্ত্রী চাই। এই আওয়াজ তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে এভাবেই প্রচার চালাচ্ছে তারা। এমনকী জানুয়ারি মাসে কলকাতার বুকে বিশাল সমাবেশ করে মহাজোটের ঘোষণাও করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এতসত্ত্বেও তাঁর জনপ্রিয়তার বহর কিন্তু তেমনভাবে তাৎপর্যপূর্ণ দেখাচ্ছে না। এই অনলাইন সমীক্ষা যে ট্রেন্ড দেখানো হয়েছে তাতে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যারে সমর্থনে পড়েছে মাত্র ১.৪৪ শতাংশ মানুষের ভোট। মোদী বিরোধিতায় থাকা আরএক শক্তিশালী নেত্রী মায়াবতীর জনপ্রিয়তার ভারটাও খুব একটা ক্ষুরধার নয়। তিনি পেয়েছেন মাত্র ০.৪৩ শতাংশ। অন্য নেতাদের ক্ষেত্রে এই হারটা ৫.৯২ শতাংশ।
২০১৪ সালের তুলনায় রাহুল গান্ধীর কি জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে। টাইমস-এর অনলাইন মেগা-পোল-এ এমন প্রশ্নও রাখা হয়েছিল, কিন্তু তাতে যে ট্রেন্ড পরিলক্ষিত হয়েছে তাতে চোখ কপালে উঠতে বাধ্য। কারণ, অনলাইন সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ৬৩.০৩ শতাংশ মানুষ মনে করছেন যে ২০১৪ সালের তুলনায় রাহুলের জনপ্রিয়তা বাড়েনি। এই প্রশ্নে 'হ্যাঁ' বলেছেন ৩১.১৫ শতাংশ। বলতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন- ৫.৮২ শতাংশ মানুষ।
টাইমস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি এই অনলাইন সমীক্ষা চলে। ৯টি ভাষায় টাইমসের অন্তত ১৩টি মিডিয়া প্রোপার্টিসে এই সমীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল।