মোদী ভারত মাতাকে মিথ্যা বলছেন, এনআরসি নিয়ে জোর আক্রমণে রাহুল
মোদী ভারত মাতাকে মিথ্যা বলছেন, এনআরসি নিয়ে জোর আক্রমণে রাহুল
বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ডিটেনশন সেন্টার নিয়ে আলোচনা চলছে। যদিও কেন্দ্র সরকার এই বিষয়ে বিশেষ মাথা ঘামাতে রাজি নয়। তবে বিরোধী দলের তরফে বারবার করে ডিটেনশন সেন্টার ইস্যুতে কেন্দ্রকে নিশানা করা হচ্ছে। এদিন ফের একবার এই নিয়ে আক্রমণ শানালেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তিনি বলেছেন, ডিটেনশন সেন্টার নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী মিথ্যা ভাষণ করছেন। অসমের মাটিয়া এলাকায় ইতিমধ্যে একটি ডিটেনশন সেন্টার রয়েছে। সেখানে বিল্ডিং তৈরির কাজও চলছে। সূত্রের খবর, এই ডিটেনশন সেন্টার তৈরির কাজ, ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসের শুরু হয়। ইতিমধ্যে দুই তৃতীয়াংশ কাজ হয়ে গিয়েছে।
মোদীর ভাষণ
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী তাঁর ভাষণে বলেছেন, দেশজুড়ে এনআরসি বলবৎ করার কোনও পরিকল্পনা, আলোচনা চলছে না। কংগ্রেস এবং বিরোধীরা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে। এবং বলছে মুসলমানদের এই সব ডিটেনশন সেন্টারে রাখা হবে, যা সর্বৈব মিথ্যা।
রাহুলের অভিযোগ
তার বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন রাহুল। একটি টুইটে তিনি লিখেছেন, আরএসএসের প্রধানমন্ত্রী ভারত মাতাকে মিথ্যা কথা বলছেন।
কেন্দ্রের যুক্তি
কেন্দ্রের এই বিষয়ে যুক্তি, এই ঘটনার সঙ্গে এনআরসির কোনও যোগ নেই। যে সমস্ত বিদেশি নাগরিকরা ফরেনার্স অ্যাক্ট ভঙ্গ করতে গিয়ে ধরা পড়বেন বা যাদের পাসপোর্টে গোলমাল থাকবে তাদেরকে জেলে রাখা যাবে না। ফলে কোনও একটি জায়গায় তাদের রাখা হবে। এবং সে কারণেই এই ধরনের বিভিন্ন সেন্টার তৈরি করা হয়েছে বা হচ্ছে। এই সরকার আসার আগে থেকেই প্রক্রিয়া চালু রয়েছে। ডিটেনশন সেন্টারে এই ধরনের মানুষকে রেখে পরে যে দেশের নাগরিক সেই দেশের সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের নিজেদের দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে।
বিজেপির বিরোধিতা
বিজেপির তরফে রাহুলের কড়া বিরোধিতা করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ২০১১ সালে অসমের কংগ্রেস সরকার ও কেন্দ্রের কংগ্রেস সরকার থাকাকালীন সেরাজ্যে গোয়ালপাড়া, কোকরাঝাড় ও শিলচরে তিনটি ডিটেনশন সেন্টার তৈরি করা হয়েছিল। এবং সেখানে ৩৬০ জন ব্যক্তিকে পাঠানো হয়। বিজেপির রাহুলকে আক্রমণ, ভারতবর্ষ আপনাদের ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে আর সেজন্যই আপনারা বারবার মিথ্যাচার করে মানুষকে উস্কে দিচ্ছেন।
|
অসমে বন্দি শিবির
জানা গিয়েছে অসমের মাটিয়ায় যে বন্দিশিবির রয়েছে তা তৈরি করতে ৪৬ কোটি টাকা খরচ পড়েছে। সেখানে ১৫ তলা বিল্ডিং রয়েছে এবং তিন হাজারের বেশি লোক রাখা যাবে। গুয়াহাটি থেকে এই জায়গাটির দূরত্ব ১২৯ কিলোমিটার।