'পরীক্ষা পে চর্চা'-য় ব্যর্থতা কাটানোর ভোকাল টনিক প্রধানমন্ত্রী মোদীর, উঠে এল চন্দ্রযান প্রসঙ্গ
সোমবার দিল্লিতে 'পরীক্ষা পে চর্চা' অনুষ্ঠানে এই বছরের বোর্ড পরীক্ষায় বসতে চলা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানেই ছাত্র-ছাত্রীদের অনুপ্রেরণা দেওয়ার চেষ্টা করেন প্রধানমন্ত্রী। আজ তিনি ছাত্রদের উদ্দেশ্যে বলেন, 'আমি দীর্ঘদিন সরকারের সাথে জড়িত। আমি দীর্ঘদিন মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম এবং এখন আপনারা সবাই আমাকে প্রধানমন্ত্রীর এই দায়িত্ব দিয়েছেন। এই দায়িত্বভার সামলানোর জন্যেই আমাকে বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে এবং বিভিন্ন ধরনের ব্যক্তিত্বের সাথে দেখা করতে হয়। আমি নতুন কিছু শেখার জন্য এই প্রতিটি অনুষ্ঠানকে আলাদাভাবে গুরুত্ব দিই। তবে যদি কেউ আমাকে জিজ্ঞাসা করে কোন অনুষ্ঠানটি আপনার হৃদয়ের সবথেকে কাছের? তবে আমি বলব, পরীক্ষা পে চর্চা।'
|
"# উইথআউটফিল্টার"
তিনি বলেন, 'আমি হ্যাকাথনসেও অংশ নিতে পছন্দ করি। ওই অনুষ্ঠানে ভারতের যুবকদের শক্তি এবং প্রতিভা প্রদর্শিত হয়।' এরপর তিনি আরও বলেন, 'আজ কল কা ফ্যাশন হ্যায় "# উইথআউটফিল্টার", তাই আমিও আজ তোমাদের সঙ্গে সেভাবেই কথা বলব যেভাবে তোমরা তোমাদের বন্ধুদের সঙ্গে সাধারণত করে থাক।'
|
২০২০ সাল শিক্ষার্থী ও দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ
পরীক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, '২০২০ সালটি শিক্ষার্থীদের জীবনে পাশাপাশি দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই দশকে দেশ যাই করুক না কেন, সর্বাধিক অবদান আসবে এমন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে যারা এই বছর বোর্ডের পরীক্ষা দেবে। সমগ্র দেশের হাজার হাজার স্কুলের শিক্ষীর্থীরি বসবে পরীক্ষায়।'
|
ছাত্রছাত্রীদের উপর চাপ না বাড়তে অভিভাবকদের অনুরোধ
পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীদের উপর চাপ না বাড়তে অভিভাবকদের অনুরোধ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'অনেক মাতাপিতাকে অবশ্যই তাদের সন্তানের বোর্ডের ফলাফল সম্পর্কে উদ্বিগ্ন হতে হচ্ছে। তবে আমি অনুভব করছি যে তাদের এই চিন্তা কম করা উচিত। আমিও আপনার পরিবারের একজন সদস্য এবং তাই আমি বুঝতে পারি যে আমারও সম্মিলিতভাবে এই দায়িত্ব পালন করা উচিত। আমরা প্রায়শই আমাদের নিজেদের বাবা মায়ের বা অভিভাবক বা শিক্ষকদের কথা এড়ানোর প্রবণতা পোষণ করি। তবে বাইরের লোক যা বলে তা শুনি। ব্যর্থতার কারণে অনেকেই আছেন যারা জীবনে অনুপ্রেরণা হারিয়ে ফেলে।'
|
উঠে আসে চন্দ্রযান ব্যর্থতার প্রসঙ্গ
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে উঠে আসে চন্দ্রযান ব্যর্থতার প্রসঙ্গও। তিনি বলেন, 'আমাকে অনেকে চন্দ্রযান-২ এর অবতরণের অনুষ্ঠানে যোগ না দেওয়ার কথা বলেছিলেন। তাঁদের বক্তব্য ছিল যে 'কোনও নিশ্চয়তা নেই, ব্যর্থ হলে কী হবে'। তাই আমাকে তাঁরা বলেন অনুষ্ঠানে যোগ না দিতে। আমি তাদের বছি যে এই কারণেই আরও আমাকে অবশ্যই সেখানে থাকতে হবে।'