'মোদী-ট্রাম্প কথাবার্তা শেষবার এপ্রিল মাসে হয়েছে',চিন প্রসঙ্গে মার্কিন দাবি নস্যাৎ দিল্লির
২৪ ঘণ্টাও পার হয়নি ট্রাম্পের বক্তব্যের। আর তার মধ্যেই দিল্লি জানিয়ে দিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ভুয়ো তথ্য দিয়েছেন! এর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প চিন প্রসঙ্গে জানিয়েছিলেন যে , লাদাখ প্রসঙ্গে মোদীর সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। আর এই বক্তব্যকেই কার্যত অসত্য বলে জানিয়ে দিয়েছে দিল্লি।
শেষবার কবে মোদী-ট্রাম্প কথা হয়েছে?
শেষবার ৪ এপ্রিল মোদী ও ট্রাম্পের ফোনে কথা হয়েছে। সেই সময় করোনার আবহে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভারত থেকে হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন পৌঁছে দেওয়া নিয়ে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের কথা হয়। এরপর দুই নেতার কোনও কথা হয়নি। এমনই তথ্য জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। যদিও ভারত এই মুহূর্তে চাইছে চিনের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ অবস্থান। তেমন বার্তাই এসেছে চিন থেকেও। এর মাঝে আমেরিকান প্রেসিডেন্টের ভ্রান্ত বক্তব্য সমস্যা তৈরি করতে পারে বলে আশঙ্কা ভারতের।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট কী বলেছিলেন?
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে চৈনিক আস্ফালন নিয়ে। আর সেই আলোচনার পর ট্রাম্পের দাবি, নরেন্দ্র মোদী মোটেও 'খুশি নন' এই পরিস্থিতি নিয়ে।
লাদাখ ও ভারত
ভারত চিন দ্বন্দ্বের মূল কারণ লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় এক রাস্তা নির্মাণ ঘিরে। যে রাস্তা ভারত নির্মাণ করছে। আর সেই সময় থেকেই লাদাখ সীমান্তে ৬ হাজার সেনা জওয়ান মোতায়েন করেছে চিন। যা ভারত ভালোভাবে নেয়নি। পাল্টা ভারতও আগ্রাসন অটুট রেখেছে।
মধ্যস্থতার বার্তা ট্রাম্পের
লাদাখের বুকে চিনের আস্ফালন করোনার প্রবল আতঙ্কের মাঝেও বাগ মানেনি। তবে ওই সীমান্তে উত্তেজনার মাত্রা বেড়ে যাওয়া র পরই চিন গলা নামিয়ে নেয়। জানিয়ে দেয় যে পরিস্থিতির জটিলতা শান্তি পূর্ণভাবে সমাধান করা যাবে ভারতের সঙ্গে। এদিকে, চিন ভারত দ্বন্দ্বের মাঝে বারবার মধ্যস্থতার বার্তা দিয়ে যাচ্ছে আমেরিকা। আর সেই মধ্যস্থতার কথা বলতে গিয়েই ট্রাম্প জানিয়েছেন এই প্রসঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ ভুল বলে জানিয়ে দিয়েছে নয়া দিল্লি।
বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, দেশে জারি হচ্ছে লকডাউন ৫.০? বৈঠকে নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহ