বাংলায় রাজনৈতিক হিংসা অব্যাহত, লোকসভায় সরব প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
বাংলায় রাজনৈতিক হিংসা, লোকসভায় সরব মোদী
বাংলায় রাজনৈতিক হিংসা নিয়ে এবার সংসদে সরব হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদসূচক ভাষণ দেওয়ার সময় তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় তাঁকে বাধা দেন। সেই সময় মোদী বলেন সারা দেশ দেখছে, বাংলায় নিরাপরাধ মানুষকে খুন করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে রাম মন্দির, ৩৭০ ধারা, তিন তালাকের উল্লেখ
দ্বিতীয়বারের জন্য গদিতে বসেছেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু সারা দেশ থেকেই যেন তাঁর বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ ছোঁড়া হচ্ছে। যদিও তাঁকে গুরুত্ব দিতে রাজি নন মোদী। এদিন লোকসভায় রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদসূচক ভাষণ দিচ্ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তিনি তাঁর দ্বিতীয়বারের শাসনকালের সময় থেকে তিনতালাক, সংবিধানের ৩৭০ ধারার অবলুপ্তি, রামমন্দির নিয়ে পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন।
সৌগত রায়ের বাধা
অনেকেই প্রধানমন্ত্র্রীর বক্তব্যের সময় টিপ্পনি কাটেন। সৌগত রায়কে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে বাধা দিতে দেখা যায়। সিএএ, এনআরসি নিয়ে সারা দেশে হিংসার অভিযোগ করেন সৌগত রায়।
পাল্টা জবাব মোদীর
সঙ্গে সঙ্গে পাল্টা জবাব দেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলায় নিরাপরাধ মানুষকে খুন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। সেইসব কাজ যাঁরা প্রত্যক্ষ করেছেন, তাঁদের অনেকেই লোকসভা উপস্থিত রয়েছেন বলে উল্লেখ করেন মোদী। প্রসঙ্গত মোদী বাংলা থেকে নিজের দলের ১৮ জন সাংসদের কথাই এখানে বলতে চেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর বলেন, বাংলার হিংসা সারা দেশ প্রত্যক্ষ করেছে।
দিলীপ ঘোষ, লকেট চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ
এর আগে বাজেট অধিবেশনেই রাজ্যের অবস্থা নিয়ে সরব হয়েছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং লকেট চট্টোপাধ্যায়। লকেট চট্টোপাধ্যায় অভিযোগে বলেছিলেেন পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে সরস্বতী পুজোও করতে দেওয়া হচ্ছে না হিন্দুদের। পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতিকে পাকিস্তানের সঙ্গে তুলনা করেন তিনি। দিলীপ ঘোষ প্রশ্ন তুলে বলেছিলেন রাজ্যে মোদীকে গোব্যাক বলা হলেও, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের গোব্যাক বলা হচ্ছে না। তৃণমূল রাজ্যে রাজনৈতিক অস্পৃশ্যতা শুরু করেছে বলেও অভিযোগ করেছিলেন তিনি। তাঁর অভিযোগ ছিল জেলাশাসকরা বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে দেখা করেন না। সিএএ-র বিরোাধিতায় রাজ্যে সব থেকে অশান্তি হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
প্রশাসনিক বৈঠকে খারাপ মাইক্রোফোন, তদন্তের নির্দেশ দিলেন মমতা