দলিতদের নেতা ছিলেন রাম বিলাস পাসোয়ান,মন্ত্রিত্বের শেষ দিন পর্যন্ত ভেবেছেন গরিবদের কথা
দলিতদের জনপ্রিয় নেতা। তাঁদের অধিকার নিয়ে লড়ে গিয়েছেন আজীবন। দলিতদের অধিকার রক্ষায় নিজের দল গড়েছিলেন িতনি। কিন্তু কখনও কোনও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ে জড়াননি তিনি। নিপাট ভদ্রলোক বলতে যা বোঝাই তেমনই ছিলেন রাম বিলাস পাসোয়ান। সেকারণেই হয়তো প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর প্রয়াণের পর শোক বার্তায় লিখেছেন এই ক্ষতি ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।

শোক প্রকাশ প্রধানমন্ত্রী
মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রীত্ব পেয়েছিলেন তিনি। ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের মন্ত্রী ছিলেন তিনি। তাঁর হাত দিয়েই এক দেশ এক রেশন কার্ড প্রকল্পের সূচনা হয়েছিল। হঠাৎ করে যে তিনি মারা যাবেন এটা বোধ হয় কেউ-ই বুঝতে পারেননি। চিরাগ পাসোয়ানের টুইটটা অনেকটা চমকে গিয়েছে বিজেপি শিবিরকে। শোকস্তবদ্ধ প্রধানমন্ত্রী টুইটে লিখেছেন, 'এই ক্ষতি ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। এটা আমার ব্যক্তিগত ক্ষতি। আমার পর বন্ধুকে হারালাম। রাম বিলাস এমন একজন সহযোদ্ধা ছিলেন যিনি সবসময় গরিবদের স্বার্থের কথা ভাবতেন।'

আদ্যান্ত দলিত নেতা
দলিতদের ত্রাতা বললে ভুল হবে না। দলিত গরিব মানুষের প্রতি তাঁর যেন মনের যোগ ছিল। সবসময় তাঁদের কথা ভাবতেন। দলিতদের অধিকার নিয়েই বরাবর সোচ্চার হয়েছিলেন তিনি। বিহারের রুক্ষ শুষ্ক মাটি থেকেই তাঁর উত্থান। সংযুক্ত সমাজতান্ত্রিক পার্টির সদস্য হিসেবে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেছিলেন তিনি। ১৯৬৯ সালে বিধানসভা ভোটে প্রথম নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। তারপর ধাপে ধাপে পেরিয়েছেন অনেকটা পথ. রাজনৈতিক উত্থান পতনের পর নিজের দল গড়েছিলেন।

রাজনৈতিক জীবন
১৯৬৯ সালে বিহার বিধানসভায় নির্বাচিত হওয়ার পর লোকসভার টিকিট পেতে তিনি জনতা পার্টিতে যোগ দেন। ১৯৮০ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত পর পর ৮ বার জনতা পার্টির সভাপতি পদে ছিলেন। পর পর আটবার লোকসভার সাংসদও হয়েছিলেন জনতা পার্টির টিকিটে। তারপরে নিজের দল এলজেপি গঠন করেন। সেসময় ইউপিএ সরকারের সঙ্গে ছিলেন তিনি। ১৯৮৯-এ ততকালীন প্রধানমন্ত্রী বিশ্বনাথ প্রতাপ সিং সরকারে শ্রম ও কল্যাণ মন্ত্রীর দায়িত্ব পান। ২০০১-এর অক্টোবর থেকে ২০০২-এর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কেন্দ্রীয় যোগাযোগমন্ত্রী ছিলেন। মন্ত্রিত্ব চলে যাওয়ার পরেই এলজেপি গঠন করেন।

ব্যক্তিগত জীবন
দলিত পরিবারের ছেলে ছিেলন রাম বিলাস পাসোয়ান। যমুন পাসওয়ান ও সিয়া দেবীর সন্তান। বিহারের খাগরিয়া জেলার শাহারবাণী গ্রামে জন্ম। পাসোয়ান কোসি কলেজ, পিলখী ও পাটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে আইনে স্নাতক ও কলা বিভাাগে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৬০ সালে তিনি বিয়ে করেন রাজকুমারী দেবীকে। ১৯৮১-তে রাজকুমারী দেবীকে ডিভোর্স করেছেন তিনি। তাঁর প্রথম পক্ষের দুই মেয়ে উষা ও আশা।১ ৯৮৩-তে তিনি বিয়ে করেন অমৃতসরের পাঞ্জাবি হিন্দু বিমানসেবিকা রিনা শর্মাকে। তাঁদের দুই ছেলে-মেয়ে। তাঁদের ছেলে চিরাগ পাসোয়ান।

প্রয়াত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাম বিলাস পাসোয়ান, টুইটে জানালেন ছেলে চিরাগ পাসোয়ান