দিল্লিতে মোদীর একের পর এক বৈঠক, মন্ত্রিসভায় নতুন দল আর যাঁদের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে জল্পনা
সাম্প্রতিক সময়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী (narendra modi) একাধিক বৈঠকে ব্যস্ত নিজের বাসভবনে। যার থেকে খানিকটা পরিষ্কার যে এমাসেই ক্যাবিনেট সম্প্রসারণ (cabinet expansion) হতে চলেছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন
সাম্প্রতিক সময়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী (narendra modi) একাধিক বৈঠকে ব্যস্ত নিজের বাসভবনে। যার থেকে খানিকটা পরিষ্কার যে এমাসেই ক্যাবিনেট সম্প্রসারণ (cabinet expansion) হতে চলেছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী নিজেই কাজ করে চলেছেন, দুমাসের বেশি সময় জুড়ে। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে একাধিক বিষয় উঠে এসেছে।
মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক
দেশে করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গ আস্তে আস্তে স্তিমিত হয়ে আসছে। এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রীদের কাজের পর্যালোচনা করছেন। ক্যাবিনেট মন্ত্রীর নিয়ে ছোট ছোট দল তৈরি করে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী। যা শুরু হয়েছে, এই সপ্তাহের শুরুতে, ৫ মন্ত্রীকে নিয়ে। সবমন্ত্রীই তাঁদের রিপোর্ট কার্ড জমা দিয়েছেন। মন্ত্রীরা তাঁদের ভবিষ্যত পরিকল্পনার কথাও প্রধানমন্ত্রীর কাছে জমা দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। সূত্তের খবর অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, করোনার কারণে একটা বছর নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এবার রাস্তায় নেমে সমস্যা চিহ্ন্ত করতে হবে। এই বৈঠক চলবে, যতক্ষণ না পর্যন্ত ক্যাবিনেট মন্ত্রীরা তাঁদের রিপোর্ট কার্জ পেশ করেন। শুক্রবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং দলের সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গেও বৈঠক করেন।
ক্যাবিনেটে ফাঁকা বেশ কিছু পদ
দ্বিতীয় মোদী সরকারের শীর্ষ পদে বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতা প্রয়াত হয়েছেন। পাশাপাশি শিবসেনা, অকালিদল এনডিএ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছেন। যার জেরে দুডজনের ওপরে পদ ফাঁকাষ এরমধ্যে কয়েকজন বর্ষীয়ান মন্ত্রীকে বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, অনেক মন্ত্রীরই কাজে চাপ বেশি রয়েছে। পাশাপাশি লোকসভায় শক্তি অনুযায়ী, বেশ কিছু রাজ্যে পর্যাপ্ত প্রতিনিধিত্ব পায়নি বলেও দলের মধ্যেই অনুযোগ উঠেছে। মোদী সরকারের প্রথম জমানায় শুরু থেকেই প্রধানমন্ত্রী সব মন্ত্রীদের কাজের পর্যালোচনা করতেন। আর প্রথম একবছরের মধ্যে ক্যাবিনেটের সম্প্রসারণ করেছিলেন। ৫ বছরে তিনবার ক্যাবিনেট সম্প্রসারণ হয়েছিল। কিন্তু দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পরে তা এখনও হয়নি। যার অন্যতম প্রধান কারণ দেশব্যাপী করোনা মহামারী। তবে ক্যাবিনেটের সম্প্রসারণ হলে বেশ কিছু মন্ত্রীকে যেমন সরানো হবে, আবার বেশ কয়েকজনের দায়িত্ব লাঘব করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
আগামী বছরেই বেশ কয়েকটি রাজ্যে নির্বাচন
আগামী বছরেই বেশ কয়েকটি রাজ্যে নির্বাচন হতে চলেছে। এর মধ্যে রয়েছে উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, গুজরাত, গোয়া, মনিপুর, পঞ্জাব, হিমাচল প্রদেশ। এই রাজ্যগুলি থেকে বিজেপি নিজেদের ভোট বাড়াতে চায়। এই পরিস্থিতি বেশ কিছু বর্ণ ও গোষ্ঠীকে আরও বেশি মর্যাদা দিতে চায় রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারে। যার মধ্যে রয়েছে দিল্লি এবং উত্তর প্রদেশ। ইতিমধ্যেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। যার জেরে ক্যাবিনেট সম্প্রসারণের জল্পনা আরও তীব্র হয়েছে।
বেশ কয়েকজন অপেক্ষায় রয়েছেন
ইতিমধ্যেই
অনেক
হেভিওয়েট
বিজেপিতে
যোগ
দিয়ে
এখনও
কোনও
মন্ত্রীত্ব
পাননি।
তাঁদের
মধ্যে
রয়েছেন
জ্যোতিরাদিত্য
সিন্ধিয়া।
মধ্যপ্রদেশে
শিবরাজ
সিং
চৌহানকে
সরকার
গড়তে
সাহায্য
করেছেন।
তাই
তাঁর
কেন্দ্রীয়
ক্যাবিনেটে
অন্তর্ভুক্তি
সময়ের
অপেক্ষা
বলেও
মনে
করছেন
অনেকে।
অন্যদিকে
অসমের
মুখ্যমন্ত্রী
পদে
সর্বানন্দ
সোনওয়ালকে
সরিয়ে
হিমন্ত
বিশ্বশর্মাকে
জায়গা
করে
দেওয়া
হয়েছে।
এক্ষেত্রে
তিনিও
কেন্দ্রীয়
মন্ত্রিসভায়
অন্তর্ভুক্তির
অন্যতম
দাবিদার।
বিহারে
বিজেপির
সহযোগী
সংযুক্ত
জনতাদল
কেন্দ্রীয়
মন্ত্রিসভায়
দুটি
পদের
দাবি
করে
আছে।
বিজেপি
আগেই
জানিয়েছে,
এর
মধ্যে
একজন
ক্যাবিনেট
আর
একজন
রাষ্ট্রমন্ত্রীর
পদ
পেতে
পারেন।
পাশাপাশি
বিভিন্ন
বিষয়ে
সাহায্য
করায়
মোদী
সরকার
চাইছে
অন্ধ্রপ্রদেশে
ওয়াই
এসআর
কংগ্রেসের
প্রতিনিধিকে
মন্ত্রিসভায়
অন্তর্ভুক্ত
করতে।
ইতিমধ্যেই
ওয়াই
এস
জগনমোহন
রেড্ডি
অমিত
শাহের
সঙ্গে
বৈঠক
করেছেন
এই
সপ্তাহের
শুরুতে।
তাই
এই
দলের
কেন্দ্রীয়
মন্ত্রিসভায়
অন্তর্ভুক্তি
এখন
সময়ের
অপেক্ষা
বলেই
মনে
করছেন
অনেকে।