দেশকে যারা টুকরো করতে চায় তাদের সঙ্গে বিরোধীরা ছবি তোলেন, সংসদে আক্রমণাত্মক প্রধানমন্ত্রী মোদী
দেশকে যারা টুকরো করতে চায় তাদের সঙ্গে বিরোধীরা ছবি তোলেন, সংসদে আক্রমণাত্মক মোদী
বৃহস্পতিবার সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করতে নিজের বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর বক্তব্যের প্রথম থেকেই জাতীয় কংগ্রেসকে বিভিন্ন বিষয়ে তুলোধোনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কাশ্মীর ইস্যু থেকে সিএএ বিরোধী আন্দোলন নিয়ে সংসদে মুখ খোলেন প্রধানমন্ত্রী।
'সিএএ নিয়ে ভুল বোঝআনো হচ্ছে দেশে'
সংসদে সিএএ নিয়ে এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, 'যেমন ভাবে বয়ান দেওয়া হচ্ছে সেটা ঠিক না। বিরোধীরা শাহিনবাগের কথা বলে, কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের নির্যাতিতদের নিয়ে কেউ কিছু বলেনা। যদি সবকিছু সামনে চলে আসে তাহলে সবার সমস্যা হবে। কিছু মানুষ বলছে, সিএএ এত তাড়াতাড়ি লাগু করার কি দরকার। দেশকে টুকরো টুকরো করার কথা হচ্ছে। কাল্পনিক ভয় সৃষ্টি করা হচ্ছে।'
'দেশের কোনও নাগরিক সিএএ-র জেরে ক্ষতিগ্রস্থ হবে না'
কংগ্রেসরকে আক্রমণ করে মোদী বলেন, 'আমি সকল ১৩০ কোটি ভারতীয়কে বলতে চাই যে এই বিলে (নাগরিকত্ব আইন) সংখ্যালঘু সহ কোনও নাগরিকই ক্ষতিগ্রস্থ হবে না। পাকিস্তানে হিন্দুদের তাড়িয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া প্রায় সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। পণ্ডিত নেহেরু নিজেই পাকিস্তানের সংখ্যালঘুদের রক্ষার পক্ষে ছিলেন, আমি কংগ্রেসকে জিজ্ঞাসা করতে চাই, পণ্ডিত নেহেরু সাম্প্রদায়িক ছিলেন কি? তিনি কি হিন্দু রাষ্ট্র চেয়েছিলেন?'
'পাকিস্তানের সুরে কথা বলছে বিরোধীরা'
তিনি আরও বলেন, 'দেশকে টুকরো টুকরো করার কথা যারা বলে, এরা তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তোলে। পাকিস্তান এতদিন ধরে ভারতীয় মুসলিমদের উস্কাত। পাকিস্তান ব্যর্থ হয়েছে। তবে সেই কাজটাই এবার করছে বিরোধীরা। যাঁদের ছুঁড়ে ফেলা হয়েছে, তাঁরাই আজ এই কাজ করছে। পাকিস্তানের সুরে কথা বলছে বিরোধীরা। কংগ্রেসের নজরে মুসলিমরা শুধুই মুসলিম! কিন্তু আমাদের সরকারের নজরে মুসলিমরা ভারতীয়।'
'১৯৯০ সালে কাশ্মীরের পরিচয় সমাহিত হয়েছিল'
এই রেশ টেনেই কাশ্মীর নিয়েও কংগ্রেসকে তুলোধোনা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'যারা সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধার কথা বলছেন তারা এত দশক ধরে এটিকে জম্মু ও কাশ্মীরে কখনও প্রয়োগ করেননি। শশী থারুর জি আপনি জম্মু ও কাশ্মীরের জামাই ছিলেন, আপনার উদ্বেগ প্রকাশ করা উচিত ছিল।' এরপর কাশ্মীরি পণ্ডিতদের কাশ্মীর থেকে বিতাড়িত করার প্রসঙ্গ টেনে এনে বলেন, 'কাশ্মীরের পরিচয় ১৯ জানুয়ারি, ১৯৯০ সমাহিত হয়েছিল।'