জেতার পর সংসদে প্রথম ভাষণেই ফের কংগ্রেসকে বিঁধলেন মোদী
জয়ের পর সংসদে প্রথম ভাষণ নরেন্দ্র মোদীর। দিনটিও মোক্ষম। ইন্দিরা গান্ধীর জরুরি অবস্থা ঘোষণার বর্ষপূর্তি। সেই সুযোগ যে তিনি হাতছাড়া করবেন না সেটাই স্বাভাবিক। ভরা সংসদে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে নেপোটিজমের অভিযোগ তোলেন মোদী। জরুরি অবস্থার প্রসঙ্গ টেনে মোদী বলেন, সেদিন দেশের আত্মা চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে গিয়েছিল।

রাহুল গান্ধী , সোনিয়া গান্ধীর উপস্থিতিতেই মোদী বলেন, কংগ্রেসে এতোদিন শুধু গান্ধী পরিবাররকেই সম্মান দেওয়া হয়েছে। বাকিরা কোনও সম্মান পাননি। এমনকী মনমোহন সিংকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। গত পাঁচ বছরে কংগ্রেসের কোনও নেতার মুখ দিয়ে একবারের জন্যও মনমোহন সিংয়ের কথা শোনা যায়নি। তার একটি মাত্র কারণ গান্ধী পরিবার। গান্ধী পরিবার ছাড়া কংগ্রেসে কোনও রাজনৈতিক দলের প্রশংসা পাওয়ার কোনও অধিকার নেই।
কংগ্রেসের প্রতি বিতশ্রদ্ধ হয়েই ২০১৪ সালে মানুষ সরকার বদলেছে বলে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী। দেশবাসী তখন ভাবত অন্য যে কেউ আসুক এঁদের (কংগ্রেসের) থেকে তো বাঁচা যাহে। বিজেপি সরকারের ৫ বছরের সাফল্য আবার ক্ষমতায় বসার সুযোগ দিয়েছে।
সংসদের নির্দিষ্ট আসনে বসে তখন গালে হাত দিয়ে এক মনে মোদীর কথা শুনছেন রাহুল গান্ধী। গতবছরই যাকে ভরা সংসদে জড়িয়ে ধরে চরম বার্তা দিয়েছিলেন রাহুল। সেই জাদু কি ঝাঁপ্পি হয়তো আজীবন ভুলতে পারবেন না মোদী। এমনকী বিজেপিও। অনেকটা গান্ধীগিরিই করেছিলেন রাহুল। আজ মোদী যেটা করলেন সেটাকেও এক প্রকার গান্ধীগিরিই বলা চলে। অভিভাবক সুলভ আচরণে রাহুলকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন খামতি কোথায়। বললেন, 'এতোটাই উঁচুতে উড়ছিলে তোমরা যে মাটির মানুষদের কাছে পৌঁছতে পারনি। সেকারণেই ২০১৪ থেকেও বেশি ভোটে ফের ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। এই সাফল্যের পেছনে যে শ্রম রয়েছে তা তোমরা কখনও করনি। গত পাঁচ বছর ধরে বিেজপি সরকার সকলের অলক্ষ্যেই সেই পরিশ্রমটা করেছে। আমাদের এই যাত্রা সবে শুরু হয়েছে। এখনও অনেকটা পথ বাকি।'