সাত রাজ্যে করোনা নিয়ন্ত্রণ কোন পথে! কোন পরামর্শ প্রধানমন্ত্রী মোদীর, কী এই লোকাল লকডাউন জেনে নিন
সাত রাজ্যে করোনা নিয়ন্ত্রণ কোন পথে! কোন পরামর্শ প্রধানমন্ত্রী মোদীর, কী এই লোকাল লকডাউন জেনে নিন
দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণে সবচেয়ে বেশি মাথাব্যাথার কারণ হয়ে উঠেছে সাতটি রাজ্য। গতকালই এই সাত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে এই সাত রাজ্যকে লোকাল লকডাউন এবং মাইক্রো লকাউনের পথে হাঁটার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। কী এই লোকাল লকডাউন জেনে নিন।
সাত রাজ্যে করোনা সংক্রমণ
গোটা দেশে করোনা সংক্রমণে মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সাতটি রাজ্য। মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, কর্নাটক, অন্ধ্র প্রদেশ, পাঞ্জাব, উত্তর প্রদেশ এবং দিল্লি। এই সাত রাজ্যের ৬০ জেলায় করোনা সংক্রমণ ঘুম ছুটিেয়ছে মোদী সরকারের। গতকাল এই সাত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করে। পরিস্থিতি পর্যালোচনা লোকাল লকডাউন এবং লকডাউনের পথে হাঁটার পরামর্শ গিেয়ছেন প্রধানমন্ত্রী।
লোকাল লকডাউন কী
করোনা সংক্রমণ কমালে লোকাল লকডাউন এবং মাইক্রো কন্টেইনমেন্ট জোনের পথে হাঁটার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। লোকাল লকডাউন হচ্ছে স্থানীয় ভাবে কোনও একটি শহর বা জেলায় তিন চার দিনের জন্য লকডাউন ঘোষণা করা। যেভাবে পশ্চিমবঙ্গে সপ্তাহে এবং মাসে এক দুদিন করে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছিল। সেদিন সব কাজ বন্ধ থাকবে সেই এলাকায়। দোকান বাজার বন্ধ থাকবে। শুধু মাত্র জরুরি পরিষেবায় ছাড় দেওয়া হবে।
মাইক্রো কন্টেইনমেন্ট জোন
আরেকটি পথের কথা প্রধানমন্ত্রী বলেেছন সেটি মাইক্রো কন্টেইনমেন্ট জোন। সেখানে আবার করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দেখে এলাকা ভাগ করে নিয়ে। সেই সব এলাকায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা। পশ্চিমবঙ্গে এই পথেও করোনা নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। একটি পাড়া বা একটি বহুতলকে কন্টেইমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করে নজরদারি চালানো। এতে আর্থিক ক্ষতি কম হবে বলেও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
১৪৪ ধারা জারি
কোনও কোনও রাজ্য আবার করোনা ভাইরাসের নিয়ন্ত্রণে ১৪৪ ধারা জারি করেছে। পাঞ্জাব, হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র সেই পথে হেঁটেছে অনেকবার। করোনা সংক্রমণের স্থান চিহ্নিত করে সেই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এতে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছে করোনা সংক্রমণ।