প্লাবিত কাশ্মীরে মৃত বেড়ে ১৩৮, অতিরিক্ত এক হাজার কোটি বরাদ্দ কেন্দ্রের
স্বাধীনতার পর এমন ভয়াবহ প্লাবন দেখেনি জম্মু-কাশ্মীর। গত কয়েকদিনে একটানা বৃষ্টির জেরে সৃষ্ট প্লাবনে ১৩৮ জন মারা গিয়েছেন। ১২ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে সেনাবাহিনী। ১৮ হাজার সেনাকর্মী উদ্ধারকাজে নেমেছেন। ২৩টি হেলিকপ্টার নামিয়েছে বায়ুসেনা। রবিবার সকাল থেকে জম্মু এলাকায় পরিস্থিতি কিছুট ভালো হলেও কাশ্মীর উপত্যকার অবস্থা তথৈবচ। এ দিনই রাজৌরি জেলার হামিরপুর কোনা এলাকা থেকে পাঁচটি পরিবারকে উদ্ধার করা হয়। জলস্রোত থেকে বাঁচতে এরা গাছে ওপরে আশ্রয় নিয়েছিল।
বন্যায় ভেসে যাওয়া এলাকা পরিদর্শন করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, "কাশ্মীরের মানুষ যেন না ভাবেন যে, এই বিপর্যয়ে তাঁরা একা। গোটা দেশ পাশে আছে। সঙ্কট কাটিয়ে কাশ্মীর আবার আগের মতো ঘুরে দাঁড়াবে, এটা বিশ্বাস করি। যে কোনও ধরনের সাহায্য দিতে আমরা তৈরি। এর আগেই কেন্দ্র ১১০০ কোটি টাকা সহায়তা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল। কিন্তু এই বিপর্যয়ের তুলনায় এটা কিছু নয়। তাই আমি অতিরিক্ত এক হাজার কোটি টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করছি। বন্যার পর রাস্তা, সেতু, স্কুল ইত্যাদি পুননির্মাণে আরও টাকার দরকার হলে সেটাও দেওয়া হবে। কোনও রাজ্য সরকার যদি এই সঙ্কটে কাশ্মীরের পাশে দাঁড়াতে চায়, দাঁড়াতে পারে। দেশের সব রাজ্যের কাছে আমি এই আবেদন জানাচ্ছি।" তিনি জম্মুতে রাজ্য প্রশাসন ও ফৌজি কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
শ্রীনগরের অবস্থা খুবই খারাপ। শহরের প্রাণকেন্দ্র লালচকে এখন নৌকো চলছে। রাজ্য সচিবালয়, হাই কোর্টে জল ঢুকে গিয়েছে। হাই কোর্টের ভিতরে জলস্তর আট ফুট পর্যন্ত উঠে গিয়েছে। আটকে পড়া পর্যটকদের অধিকাংশকেই ইতিমধ্যে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে সেনাবাহিনী। পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরও এই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে খবর। তাই পাকিস্তান সরকার সাহায্য চাইলে তাদের আবেদনে সাড়া দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
গতকালই প্লাবিত কাশ্মীর ঘুরে দেখেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনিও একগুচ্ছ সহায়তার কথা ঘোষণা করেছিলেন।