প্রধানমন্ত্রী নিজেকে মসিহা ভাবছেন, বিরোধীদের ভাবছেন ডেভিল : ডেরেক
প্রধানমন্ত্রী নিজেকে মসিহা ভাবছেন। আর বিরোধীদের ভাবছেন ডেভিল। রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে কড়া ভাষায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিশানা করলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন।
নয়াদিল্লি, ২৪ নভেম্বর : প্রধানমন্ত্রী নিজেকে মসিহা ভাবছেন। আর বিরোধীদের ভাবছেন ডেভিল। রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে কড়া ভাষায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিশানা করলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন। একেবারে চাঁছাছোলা ভাষায় তিনি বলেন, গরিব মারতে নেমেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাই প্লাস্টিক মানিতে ভরসা দেখিয়ে প্রধানমন্ত্রী নিজেকে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী মনে করছেন। কিন্তু এর ফল ভালো হবে না।
দলের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্ধৃত করে ডেরেক বলেন, মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন প্রধানমন্ত্রীর নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত 'বিড ব্ল্যাক স্ক্যান্ডাল'। এখন প্রধানমন্ত্রী আপনি বলছেন, আপনার সিদ্ধান্তে ৯২ শতাংশ দেশবাসী খুশি। কিন্তু বাস্তব তা বলছে না। গরিব মানুষগুলোর দিকে তাকিয়ে দেখুন, তাঁদের অবস্থা। মানুষ আজ টাকার বিহনে হাহাকার করছে।
তখন রাজ্যসভায় উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁকে লক্ষ্য করেই ডেরেক বলে ওঠেন, প্রধানমন্ত্রী আপনি তো বিদেশ থেকে কালো টাকা ফিরিয়ে আনবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু কোথায় গেল আপনার সেই প্রতিশ্রুতি। এখনও একটা পয়সাও আপনি জনতার অ্যাকাউন্টে দিতে পারেননি। উল্টে আপনি প্রমাণ করতে চাইএন কালো টাকা ধরার নামে আপনি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাতে আপামর দেশবাসী খুশি।
একবার তাকিয়ে দেখুন চা শ্রমিকদের দিকে। তাঁরা চরম সমস্যায় দিন কাটাচ্ছেন। শ্রমিকদের হাতে টাকা নেই। মানুষ খেতে পারছেন না। ঠিক এই ইস্যুতে ৬০টি বিরোধী দল ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। সব দলগুলিই কালো টাকার বিরুদ্ধে। কিন্তু গরিব মানুষের পক্ষে। প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করে তিনি আরও বলেন, জিডিপি-র ৮৭ শতাংশ জুড়ে নগদ টাকা। সেই কারণে জিডিপি-র বিশাল ক্ষতি হচ্ছে।
সেইসঙ্গে বিজেপি এই প্রশ্নও এড়াতে পারে না, এই নোট বাতিল কি আদৌ গোপনীয় ছিল? তাই যদি হবে তাহলে বিজেপি-র ঘরে ঘরে সেই খবর আগে থেকেই পৌঁছে গেল কী করে।