ভারত সফরে হাসিনা: বাংলাদেশের সঙ্গে অন্তত ছটি চুক্তি স্বাক্ষরের সম্ভাবনা
ভারত সফরে হাসিনা: বাংলাদেশের সঙ্গে অন্তত ছটি চুক্তি স্বাক্ষরের সম্ভাবনা
বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) ভারতের সফরের দ্বিতীয় দিন। এদিন সকালে তাঁকে রাষ্ট্রপতি ভবনে গার্ড অফ অনার দেওয়া হয়। তারপর তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) সঙ্গে বৈঠকে বসেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে একাধিক নদীর জলবন্টন থেকে শুরু করে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি এবং সহযোগিতা নিয়ে অন্তত ছটি চুক্তি স্বাক্ষর হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
রাষ্ট্রপতি ভবনে গার্ড অফ অনার
এদিন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারতের তিন বাহিনীর তরফে গার্ড অফ অনার দেওয়া হয়। রাষ্ট্রপতি ভবনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী মোদী বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা, কিরেণ রিজিজু এবং বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক পরিচয় করিয়ে দেন।
বন্ধুত্ব দিয়ে সব সমস্যার সমাধান
অনুষ্ঠান শেষে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার পরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের মতো বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের দেশগুলি সব সমস্যার সমাধান করতে পারে। তিনি বলেন, বন্ধুত্ব দিয়ে সব সমস্যার সমাধান করা যায়। বাংলাদেশ সবসময়ই তা করে থাকে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
ভারত প্রিয় বন্ধু
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতকে প্রিয় বন্ধু হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি ১৯৭১ সালে তাঁদের স্বাধীনতার যুদ্ধে ভারতের অবদানের কথা স্মরণ করেন। একটা সময়ে তাঁকে বাংলার সঙ্গে হিন্দি ও ইংরেজি মিশিয়ে কথা বলতে দেখা যায়। তিনি বলেন মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের সমর্থনের জন্য বাংলাদেশ ঋণী।
যেসব বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষর হতে পারে
হাসিনার
এবারের
ভার
সফরে
কুশিয়ারা
নদীর
জল
বন্টন
নিয়ে
চুক্তি
স্বাক্ষর
গতে
পারে।
কেননা
বিষয়টি
নিয়ে
ইতিমধ্যেই
দুদেশের
নদী
কমিশনের
বৈঠক
হয়েছে।
এছাড়াও
রেল
এবং
জ্বালানি
নিয়েও
চুক্তি
স্বাক্ষর
হতে
পারে।
বাংলাদেশের
বিদেশমন্ত্রী
সংবাদ
মাধ্যমকে
জানিয়েছেন,
সোমবার
ভারতের
বিদেশমন্ত্রী
এস
জয়শঙ্করের
সঙ্গে
মায়ানমারের
রাখাইনের
অস্থির
পরিস্থিতি
নিয়ে
আলোচনা
হয়েছে।
এব্যাপারে
ভারতও
পরিস্থিতির
ওপরে
নজর
রাখছে
বলে
জয়শঙ্করকে
উদ্ধৃত
করে
জানিয়েছেন
বাংলাদেশের
বিদেশ
মন্ত্রী।
ভারতে
পৌঁছেই
শেখ
হাসিনা
বলেছিলেন
রাখাইন
থেকে
রোহিঙ্গা
শরণার্থীদের
সমস্যার
সমাধন
খুঁজতে
ভারতের
মতো
বড়
দেশ
অনেক
কিছু
করতে
পারে।
এছাড়াও
হাসিনার
সঙ্গে
বৈঠকে
উঠে
আসতে
পারে
ভারতের
ভূখণ্ড
ব্যবহার
করে
বাংলাদেশের
পণ্য
নেপাল
ও
ভূটানে
পাঠানোর
বিষয়টিও।
ইউক্রেন
পরিস্থিতি
এবং
তার
প্রভাব
নিয়েও
দুদেশের
মধ্যে
আলোচনা
হয়েছে।
তা
ছাড়াও
ভারতে
যদি
অতিরিক্ত
জ্বালানি
ও
গ্যাস
থাকে
তাহলে
দুদেশের
সম্মত
শর্তাবলীর
ভিত্তিতে
বাংলাদেশ
তা
কিনতে
পারে।
'ভারত আমাদের বন্ধু',রাষ্ট্রপতি ভবনে হিন্দিতে বার্তা শেখ হাসিনার