Joshimath Sinking: যোশীমঠের ফাটলকে জাতীয় বিপর্যয় বলে ঘোষণা করার দাবি, সুপ্রিম কোর্টে আবেদন ধর্মগুরুর
Joshimath Sinking: যোশীমঠের ফাটলকে জাতীয় বিপর্যয় বলে ঘোষণা করার দাবি, সুপ্রিম কোর্টে আবেদন ধর্মগুরুর
হিমালয়ের গর্ভে তলিয়ে যেতে বসেছে যোশীমঠ। ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি সেখানে। এই বিপর্যয়কে অবিলম্বে জাতীয় বিপর্যয় হিসেবে ঘোষণা করা হোক। সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানালেন ধর্মগুরু স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ সরস্বতী।
তিনি অভিযোগ করেছেন, প্রবল ঠান্ডার মধ্যে ঘর হারিয়ে খোলা আকাশের নীচে আসতে বাধ্য হচ্ছেন অসংখ্য মানুষ। রাতারাতি বাড়িঘর চাড়তে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা। আর ফিরতে পারবেন কিনা তারা তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। এই পরিস্থিতিতে যোশী মঠে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানো উচিত কেন্দ্রের। এই ঘটনাকে জাতীয় বিপর্যয় হিসেবে ঘোষণা করা উচিত।
সুপ্রিম কোর্টে মামলা
যোশীমঠের পরিস্থিতিকে জাতীয় বিপর্যয় হিসেবে ঘোষণা করা হোক। সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানালেন স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ সরস্বতী। তিনি সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানিয়েছেন, ক্রমশ ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে যোশী মঠে। এই পরিস্থিতে সেখানকার মানুষের পাশে দাঁড়ানো অত্যন্ত জরুরি। তাঁদের কাছে অবিলম্বে ত্রাণ পৌঁছনো জরুরি। প্রচণ্ড ঠান্ডার মধ্যে ঘরছাড়তে হয়েছেন অসংখ্য মানুষ। আশ্রয় হারিয়ে দিশেহারা তাঁরা। জাতিয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীদের সেখানে পাঠিয়ে অবিলম্বে উদ্ধারকাজ করানো উচিত বলে আদালতে আর্জি জানিয়েছেন তিনি।
ভাঙছে যোশীমঠ
গত কয়েকদিন ধরে উত্তরাখণ্ডে থাবা বসিয়েছে নতুন আতঙ্ক। দিন নেই রাত নেই রাস্তাঘাট- বাড়ি ঘরে বড় বড় ফাটল তৈরি হচ্ছে। গত তিনদিন ধরে লাগাতার যোশীমঠের বিভিন্ন জায়গায় ফাটল বাড়ছে। ঘর বাড়ি থেকে বেড়িয়ে আসতে বাধ্য হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। যোশী মঠের একাধিক জায়গাকে বিপজ্জনক ঘোষণা করে এলাকা খালি করতে বলা হয়েছে। আতঙ্কে নিজের ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন সেখানকার বাসিন্দারা। এখনও পর্যন্ত এই পরিস্থিতিতে তারা কোনও সরকারি সাহায্য পাননি। যে যেখানে পাচ্ছেন আশ্রয় নিচ্ছেন।
কী আর্জি জানানো
নিজের আবেদনে ধর্মীয় নেতা স্বামী অভিমুক্তেশ্বরী সরস্বতী জানিয়েছেন, উন্নয়নের স্বার্থে অসংখ্য মানুষকে বিপদের মুখে এবং মৃত্যুর মুখে ফেলে দেওয়া হয়েছে। যোশী মঠের মত একটি ধর্মীয় সংস্থানের অস্তিত্ব এখন সংকটে। সেখানকার মানুষের অধিকার রয়েছে যোশীমঠের উপর। তাঁদের অধিকার থেকে এভাবে বঞ্চিত করা ঠিক নয়। এমনকী আদালতে আবেদনকারী অভিযোগ করেছেন অপরিকল্পিত ভাবে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের একাধিক পরিকল্পনার কারণে এবং নগরোন্নয়নের কারণেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যোশী মঠে। এক কথায় যোশী মঠের এই পরিস্থিতির জন্য কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন আবেদনকারী।
উত্তরাখণ্ড পরিদর্শনে মুখ্যমন্ত্রী
এদিকে আজই উত্তরাখণ্ডের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সঙ্গেও কথা বলেছেন। এদিকে উত্তরাখণ্ডের ভারত-চিন সংযোগকারী সড়কেও ফাটল ধরেছে। সেখানেও পরিদর্শন করেছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। এই নিেয় প্রবল সংকটে রয়েছে উত্তরাখণ্ড সরকার। পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে বলে সতর্ক করেছেন ভূবিজ্ঞানীরা।