ভারতে করোনা সংক্রমণ কোন স্টেজে! কী বলছেন AIIMS-এর চিকিৎসক?
২১ দিনের লকডাউনের আর্ধেক শেষ হয়ে গিয়েছে। তবে সংক্রমণ কমার বদলে ক্রমে সেটা বেড়ে চলেছ দেশে। তা সত্ত্বেও কেন্দ্র বলে যে দেশে গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়নি এখনও। তবে পরিস্থিতি শুধরায়নি। আর যত গিন যাচ্ছে তত দেশে গৌষ্ঠী সংক্রমণের ভয় আরও বাড়ছে। আর সেই ভয়কে সত্যি করেই এবার আশঙ্কাবাণী শোনালেন এআইআইমএস বা এইমস-এর
দেশে সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে
ভারত এতদিন ধরে দাবি করে আসছে যে দেশে পরিস্থিতি এখনও স্টেজ ২-তেই রয়েছে। তবে বঠাৎ করে যে ভাবে আক্রান্তের সংখ্যা ৫০০০-এর দিকে এগোচ্ছে তাতে প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি স্টেজ-৩-এ পৌঁছে গিয়েছে ভারত? এই বিষয়ে সম্প্রতি প্রশ্ন করা হয়েছিল দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ হাসপাতালের চিকিৎসককে।
কোন স্টেজে দেশের করোনা সংক্রমণ
এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ডঃ রণদীপ গুলেরিয়া বলেন, 'দেশে ক্রমেই করোনা সংক্রমণ বাড়ছে দেশে। মুম্বইয়ের কয়েকটি জায়গাতে এই পরিস্থিতি এখন স্টেজ ৩-তে পৌঁছে গিয়েছে। তবে সামগ্রিক ভাবে দেশে করোনা সংক্মণ এখন ২ ও স্টেজ ৩-এর মধ্যে রয়েছে।'
কাবু হয়ে গিয়েছে মহারাষ্ট্র
ভারতে করোনা ভাইরাস সবচেয়ে বেশি কাবু করতে পেরেছে মহারাষ্ট্রকে। তারপরেই রয়েছে তামিলনাডু। এদিন জানা যায় যে তামিলনাড়ুতে করোনা ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৪০০ পার করেছে। এদের মধ্যে ৩৬৪ জনই অংশ নিয়েছিলেন নিজামউদ্দিনের সেই তাবলিঘি জামাতের জমায়েতে। মোট ৩,৬৮৪টি রক্তের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। তারমধ্যে ৪১১ জনের রক্তের রিপোর্ট করোনা পজেটিভ এসেছে। ২৭৮৯ জনের রক্তের নমুনা করোনা নেগেভিট এসেছে। বাকি রিপোর্টগুলি এখনও আসেনি।
তাবলিঘি জমায়েতে যোগ
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এই তাবলিঘি জমায়েতে যোগ দেওয়ায় গত দুদিনে দেশে মোট ৬৪৭ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। মার্কজের প্রধান সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে দিল্লি পুলিশ। প্রায় ২০০০ বিদেশি এই জমায়েতে যোগ দিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। এদিকে এই বিদেশিদের মধ্যে বেশির ভাগই দক্ষিণ এশিয়ার। এর জেরে ভআরত ছাড়িয়ে অন্যত্র আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে করোনার প্রকোপ।
আর্থিক সাহায্য পাচ্ছে কেন্দ্র
করোনা ভাইরাসের প্রকোপ লাগাম ছাড়াচ্ছে ভারতে। আর এই অবস্থায় ভারতের পাশে দাঁড়াল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। করোনা ভাইরাস নামক মারাত্মক এই ভাইরাসের সঙ্গে যুঝতে নরেন্দ্র মোদী প্রশাসনকে ২.৯ মিলিয়ন ডলার অর্থ সাহায্য করার ঘোষণা করেছে আমেরিকা। ১ বিলিয়ন ডলার দিচ্ছে বিশ্ব ব্যাঙ্কও।
কী কাজে লগবে সেই অর্থ?
করোনা ভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার জন্যে দেশজুড়ে ল্যাবরেটরি তৈরি করা, করোনা সংক্রমণের লক্ষণযুক্ত রোগীদের উপর বিশেষ নজরদারি করতে আলাদা করে কেন্দ্র তৈরি করতে ব্যবহার হবে ওই বিপুল অর্থ। পাশাপাশি এই ভাইরাসকে দমাতে বৈজ্ঞানিকরা যে নিরন্তর গবেষণা করে চলেছেন তার সহায়তা করার জন্যও বরাদ্দ করা হবে এই অর্থ।
সংক্রমণ রুখতে কী করতে হবে ভারতকে?
করোনা মোকাবিলা নিয়ে বলতে গিয়ে এইমস-এর চিকিৎসক বলেন, 'করোনা রোধে হাসপাতাল তৈরি ও করোনা সংক্রমণ রুখতে আর বেশি দিন সময় হাতে নেই ভারতের কাছে। আর কয়েকদিনেই আমরা সরকারি ভাবে তৃতীয় স্টেজে চলে যাব। তবে দেশে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত চিকিৎসা কর্মীর অভাব রয়েছে।'